ঢাকা, রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

লটকন চাষে সফল ময়মনসিংহের আবু নাঈম

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ১০ জুলাই ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ফুলপুরে সফল কৃষি উদ্যোক্তা আবু নাইম। এ বছর লটকন চাষে আয় করেছেন ৫ লাখ টাকা। প্রতিদিন নতুন কৃষি উদ্যোক্তারা ঘুরে ঘুরে রূপসী উদ্যান নামে বাগান পরিদর্শন করেন। ফাঁকে ফাঁকে নাইমের পরামর্শ নেন। শুধু উদ্যোক্তা নয়, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও নাঈমের বাগান দেখতে আসেন। সৌখিন কৃষি উদ্যোক্তা নাইম শুধু লটকন চাষই করেননি, গড়ে তুলেছেন ফলজ বাগান। প্রায় সোয়া ৪ একর ভূমির ওপর কমলা, মাল্টা, কুল, পেয়ারাসহ বিভিন্ন জাতের ফলজ বাগান করেছেন তিনি। এ বাগানে ২০১২ সালে ২৫০টি লটকন গাছ দিয়ে লটকন চাষ শুরু করেন। বর্তমানে ওই বাগানে ৪৫০টি লটকন গাছ রয়েছে। 

তিনি জানান, এ বছর ২৫০টি গাছে লটকন ফলেছে। গত মে মাসে গাছে লটকন কাঁচা অবস্থায় (সবুজ রং) পাইকাররা বাগানে আসে।

তারপর গাছে থাকতেই পাইকারদের কাছে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা লটকন বিক্রি করেন। লটকন পাকা রং ধারণ করলে পাইকাররা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দেন। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলার ফল ব্যবসায়ীরা বাগানে আসেন এবং পাইকারদের কাছ থেকে কিনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার এ লটকন বাগানে গেলে দেখা হয় পাইকার মো. আবুল কাশেমের সঙ্গে। তার বাড়ি রূপসী গ্রামে। তিনি জানান, ২ মাস আগে এ বাগানের লটকন ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায় কিনেছেন। 

তিনি আরও জানান, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেপারীর আসে লটকন কিনে নেয়। কৃষি উদ্যোক্তা নাঈম বলেন, লটকন গাছ আতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। তাই লটকন সাধারণত উঁচু জায়গায় এবং ছায়া থাকে এমন জমিতে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া য়ায়। তিনি আরও বলেন, তার বাগানসহ আশপাশের ভূমি প্রায়ই অনাবাদী থাকতো। আনাবাদী ভূমিগুলো চাষাবাদে আনার লক্ষ্যে তার এই উদ্যোগ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়