ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৪ ১৪৩০

কিশোরগঞ্জে বৃক্ষপ্রেমীদের ভরসা হর্টিকালচার সেন্টার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ৯ ডিসেম্বর ২০২০  

হর্টিকালচার সেন্টার

হর্টিকালচার সেন্টার

কিশোরগঞ্জের চাষি আর বৃক্ষপ্রেমীদের ভরসার বড় স্থান হর্টিকালচার সেন্টার। যে কোনো কাজেই আস্থা এবং ভরসা ছাড়া ভালো কিছু বয়ে আনে না। বিশ্বাস, আস্থা দিয়েই মন জয় করে নিয়েছে চাষি ও বৃক্ষপ্রেমীদের। হর্টিকালচার সেন্টার থেকে স্বল্পমূল্যে দেশি-বিদেশি শতাধিক প্রজাতির ফল, ফুল আর ওষুধি গাছের চারা কিনে নিয়ে বাগান করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এলাকার অনেক চাষি।

জানা যায়, আম, কাজু বাদাম, মিসরীয় ডুমুর, অ্যাভোকাডো, কফি, থাই নারিকেল, ওলবরই, খেজুর, জলপাই, চালতা, তেঁতুল, লটকন, করমচা, মহুয়া, মাল্টা বারি-১, কদবেল, আমড়া, সফেদা, কাঁঠাল, লিচু, কামরাঙ্গা, পেয়ারা, সুপারিসহ দেশি-বিদেশি এমন নানা প্রজাতির ফল গাছের দেখা মিলবে কিশোরগঞ্জের এই হর্টিকালচার সেন্টারে। জেলা শহরের গাইটাল এলাকায় অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক বছর আগে থেকেই এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত।

২৫ প্রজাতির ফলের কলম পাওয়া যায় এর মধ্যে আমের আলাদা আলাদা জাত রয়েছে ১২টি, ফুল ও শোভা বর্ধনের প্রজাতি রয়েছে ২৫টি, ফলের চারা রয়েছে ৩২ প্রজাতির, শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন সবজির প্রজাতি রয়েছে ৫টি, মশলা প্রজাতি রয়েছে ২ ধরনের এবং ওষুধি চারার প্রজাতি রয়েছে ৭ ধরনের।

তবে, স্থানীয় কৃষকদের কাছে সাড়া ফেলেছে এই সেন্টারের ফল গাছের সংগ্রহ। শুধু চারা বিক্রিই নয়, চাষিদের আধুনিক প্রযুক্তিতে চাষাবাদে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই সেন্টারে।

সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া গ্রামের আবু বকর ছিদ্দিক এবং একই ইউনিয়নের ভাস্করখিলা গ্রামের সনজিত কুমার নাহা হর্টিকালচার সেন্টার থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারা নিয়ে এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে হয়েছেন স্বাবলম্বী। মুনাফার পরিমাণ হয়েছে লক্ষাধিক। তবে তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রমের গল্প।

কিশোরগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক আবু আদনান বলেন, জেলার চাষিদের গাছের চারার চাহিদা পূরণে হর্টিকালচার সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এখানে বৈচিত্র্যপূর্ণ ও স্বল্পমূল্যে চারা পাওয়ায় জেলায় ফল চাষে আগ্রহীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

এ প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ধরনের ভেজাল চারা দেওয়া হয় না। কৃষক যে প্রজাতির চারা যায় তাকে সে প্রজাতির উন্নতমানের চারা দেওয়া হয়। যার দরুন চাষাবাদ করে সে ভালো মানের ফল পায় এবং তাদেরকে সময়ে সময়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ও বিভিন্ন ধরনের কৃষিবিষয়ক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়