ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

কাজা হয়ে যাওয়া নামাজ আদায়ের নিয়ম ও পদ্ধতি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

কাজা হয়ে যাওয়া নামাজ আদায়ের নিয়ম ও পদ্ধতি

কাজা হয়ে যাওয়া নামাজ আদায়ের নিয়ম ও পদ্ধতি

ইমান আনার পর একজন মুমিন মুসলমানের সর্বপ্রথম ইবাদত হলো নামাজ। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হবে। আল্লাহতায়ালা কোরআনুল কারিমে ৮২ বার নামাজের কথা উল্লেখ করেছেন। নিশ্চয়ই নামাজ বেহেশতের চাবি। ইচ্ছাকৃত নামাজ ত্যাগ কুফুরির সমতুল্য। আর নামাজ অস্বীকারকারী কাফের। বিনা কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ কাজা করলে তার জন্য ২ কোটি ৮৮ লাখ বছর জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। 

তাই মুসলমানরা সাবধান! অনিচ্ছাকৃত, ভুলবশত কিংবা অন্য কোনো কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে ওই নামাজ পরে আদায় করাকে কাজা নামাজ বলা হয়। ফরজ অথবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে তার কাজা আদায় করা আবশ্যক, কিন্তু সুন্নত কিংবা নফল নামাজ আদায় করা না গেলে কাজা আদায় করতে হবে না। ফরজ নামাজ ছুটে গেলে তা কাজা করা ফরজ আর ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে তা কাজা করা ওয়াজিব। 

সারা জীবনের ধারাবাহিকতায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কম কাজা হলে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরি। আর পাঁচ ওয়াক্তের অধিক যতদিন এর নামাজের কাজা হোক না কেন, ওইসব কাজা নামাজ নিষিদ্ধ সময় ছাড়া সব ওয়াক্ত নামাজের আগে আদায় করা যায়। কেননা পূর্ববর্তী ওয়াক্তের নামাজ কাজা আদায়ের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট সময় নেই, নামাজের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর যখনই নামাজের কথা স্মরণ হবে তখনই আদায় করে নেওয়া উত্তম। 

যেমন কেউ ঘুমের কারণে ফজরের নামাজ আদায় না করতে পারে তবে সে ঘুম থেকে যখনই উঠবে তখনই নামাজ আদায় করে নেবে, তবে নিষিদ্ধ সময়গুলোয় অপেক্ষা করবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা তার কম নামাজ না পড়ে থাকলে, তার তরতিবের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। আগের নামাজ আগে ও পরের নামাজ পরে পড়তে হবে। 

উদাহরণ-স্বরূপ কোনো ব্যক্তির ফজর এবং জোহরের নামাজ কাজা হয়ে গেছে, এখন আসরের নামাজ পড়ার আগে সর্বপ্রথম ফজরের কাজা, এরপর জোহরের কাজা আদায় করতে হবে এবং তারপর আসরের নামাজ আদায় করবে। কাজা নামাজ এবং ওয়াক্তের নামাজের নিয়ত একইরকম তবে পার্থক্য এতটুকু, যে কাজা নামাজ আদায় করা হচ্ছে তার নাম উল্লেখ করে আদায় করতে হবে। 

আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশে আমার অমুক সময়ের অথবা জীবনের কোনো সময়ের ফজরের ফরজ নামাজের দুই রাকাত কাজা নামাজ আদায় করতেছি। এমনিভাবে ফজর জোহর আসর মাগরিব এশা আদায় করা যাবে। কোনো মানুষ যদি দীর্ঘকাল নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকে তার উচিত একটা অনুমান করে নামাজের কাজা আদায় করে নেওয়া। 

এ অবস্থায় নামাজের কাজা আদায়ের নিয়ম হবে ওই ব্যক্তি যখন প্রতিদিনের নির্ধারিত ওয়াক্তের নামাজ আদায় করবে তখন সেই ওয়াক্তের সঙ্গে মিল রেখে ধারাবাহিকভাবে ছুটে যাওয়া ওয়াক্তের কাজা নামাজ আদায় করে নেওয়া, এভাবে কাজা আদায়ে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যাবে। এভাবে অনুমান করে আদায় করতে থাকা। ফলে একসময় পূর্ণাঙ্গ জীবনের কাজা আদায় সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সুন্নত ও নফল নামাজের কোনো কাজা নেই। 

তবে নফল নামাজ শুরু করে ছেড়ে দিলে তার কাজা আবশ্যক। জুমার নামাজের কোনো কাজা নেই। কোনো কারণে জুমার নামাজ ছুটে গেলে ওই দিনের জোহরের চার রাকাত নামাজ আদায় করে নিতে হবে। সফরের দুই রাকাত কসর বাড়িতে এসে আদায় করলে দুই রাকাত কাজা আদায় করতে হবে। এমনিভাবে মুকিম অবস্থার নামাজ সফর অবস্থায় কাজা করতে চাইলে চার রাকাতই পূর্ণাঙ্গ পড়তে হবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়