ভারতীয় পেঁয়াজের পেঁয়াজু খেয়ে বয়কটের তামাশা করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
বিএনপি নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়! তারা ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা চেষ্টা করছে।গত সোমবার (২৫ মার্চ) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ গণহত্যা হয়েছে। একদিনে এত বড় হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে বিরল। রিকশাচালক, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল।
এই গণহত্যার স্বীকৃতির বিষয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সব গণহত্যার আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন শাহ আজিজকে, যে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের প্রধান হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিল।
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিল, যারা সবুজ পতাকার বদলে পাকিস্তানি চার তারকা চেয়েছিল সে জামায়াতে ইসলামি নেতাদের বেগম খালেদা জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। যারা লাল-সবুজ পতাকা চায়নি তাদের গাড়িতে লাল সবুজ পতাকা দিয়েছিল। যেখানে ৩০ লাখের তুলনায় আরও কম মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে সেগুলোও স্বীকৃতি পেয়েছে। ‘৭৫-এর পরবর্তী গণহত্যার প্রমাণ মুছে দিয়েছিল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও ৩০ লাখের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের গণহত্যার স্বীকৃতি এই জন্য দরকার যেন ভবিষ্যতে এমন গণহত্যা পৃথিবীর কোথাও না হয়। গাজায় যে হত্যা হচ্ছে সেখানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বক্তব্য রাখছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমরা এই গণহত্যা বন্ধ চাই।
তিনি বলেন, বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ করছে আজ। সেখানে খোঁজ নিলে দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, শান্তি বাহিনীর কেউ বসে আছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।
- হলুদ সাংবাদিক কনক সারোয়ার গুজবের জন্মদাতা
- হ্যাঁ-না ভোট ও জিয়ার জোরপূর্বক রাষ্ট্রপতি হওয়া
- খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুরের পেছনে ফখরুলের ষড়যন্ত্র
- ‘পাক সেনা ক্যাম্পের নারী সাপ্লায়ার’ ছিলেন সাঈদী
- রাজধানীতে অস্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেফতার
- বাবুনগরী-মামুনুল এর ষড়যন্ত্র ফাঁস : ক্ষমতার লোভে আল্লামা শফি খুন
- অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে তৎপরতা চালাচ্ছে তারেক
- তারেকই বিএনপির প্রধান, নিরুপায় হয়ে পড়েছেন খালেদা
- অবশেষে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে আসলো বিএনপি
- বিএনপি নামক দলের সমর্থন করার কোনো মানেই হয় না: ডা. জাফরুল্লাহ