ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৪ ১৪৩০

খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুরের পেছনে ফখরুলের ষড়যন্ত্র

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩০, ১১ মে ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদনপত্রটি জমা দেন। কিন্তু এই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

রবিবার সকালে মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভালো। সরকারের অনুমতি পেলেই বেগম জিয়া কোন দেশে চিকিৎসা নেবেন, তা জানানো হবে।

ফখরুলের এমন বক্তব্য এবং আচরণে বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত আবেদনটি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

বিএনপির অনেক নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দ্বৈত নীতি গ্রহণ করেছেন। একদিকে সরকারের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করেছেন, অন্যদিকে বেগম জিয়ার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছেন। সরকার যেন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ না পাঠায় সেজন্য ষড়যন্ত্র করছেন।

তবে মির্জা ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা। তারা বলছেন, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টায় বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদনপত্র জমা দেন। কিন্তু এই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন কথা বলেছেন, কি নিয়ে কথা বলেছেন, সেটি বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের একটি বড় প্রশ্ন। তারা মনে করছেন, বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এরকম একটি আবেদন আসতে পারে সেটি আগে থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এটিকে একটি মানবিক বিষয় থেকে রাজনৈতিক বিষয়ে নিয়ে গেছেন। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়া যখন এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একদিন গিয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল বলে বর্ণনা করেন।

সরকার যখন সিদ্ধান্ত দিবে, তার আগেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা উন্নতি হয়েছে, তিনি এখন ভালো আছেন; এমন মন্তব্য করেছেন। তার কথার মাধ্যমে বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার যে শেষ সুযোগ ছিল, সেটিও বন্ধ করে দিয়েছেন।

বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা আরো মনে করেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা সম্পর্কে সার্টিফিকেট দিয়েছেন ফখরুল। তার এই আচরণের কারণে শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন নাকচ করতে সরকার একটা অজুহাত পেয়েছে। এমনটাই মনে করছেন জিয়া পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্যর বরাত দিয়ে জানা যায়, ‘সরকারের উপরমহল থেকে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হতে পারে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর না করে দেওয়া সাময়িক বলেও মনে করছেন তারা।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়