ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

স্মার্ট ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২৮, ২৭ মার্চ ২০২৪  

স্মার্ট ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়

স্মার্ট ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়

স্বাধীনতার চেতনায় স্মার্ট ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়ে সারাদেশে উদ্যাপন করা হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসুচি পালন করে। 

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র (চসিক) বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী মঙ্গলবার ভোরে মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণস্থ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মহানগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকায় অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ এলাকায় একত্রিশবার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

প্রথমবারের মতো এই স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এবং প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বালনে অংশ নেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, পুলিশ সুপার এসএম সফিউল্লাহ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণিল কুচকাওয়াজ। আনসার, ভিডিপি, নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বয়েজ স্কাউট, গার্লস গাইড, বিএনসিসির সদস্য এবং শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। 
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ মাঠের অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি নোমান আল মাহমুদ, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকম-লীর সদস্য অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মো. হোসেন, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য বখতেয়ার উদ্দীন খান, জাফর আলম চৌধুরী, ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, থানা আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম কায়সারসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উদ্যোগেও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। 
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবদল, ছাত্রদল, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (চুয়েট), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সিভাসু), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ সকল সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার উদ্যোগে দিবসটি বিশেষ কর্মসূচি ও মর্যাদার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। 
  
ময়মনসিংহ
নগরীর পাটগুদাম ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ মোড়ের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উমে সালমা তানজিয়া। এরপর শহীদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ডিআইজি ময়মনসিংহ রেঞ্জ শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁইয়া, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান ও মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ। 
পরে সকাল ৮টায় মরহুম রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বর্ণাঢ্য বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে শুরু হয় শিশু-কিশোরদের শারীরিক কসরত প্রদর্শনের আয়োজন।

সিলেট
পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, সিলেটের ডিআইজি, পুলিশ সুপার, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ, বাসদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, লিডিং ইউনিভার্সিটি, এমসি কলেজ, সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করে। 
এ উপলক্ষে জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির গ্যাস ভবন চত্বরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিকুর রহমান। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে জালালাবাদ গ্যাস ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

রাজশাহী 
মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ মিনারগুলোতে ফুল হাতে মানুষের ঢল নামে। সকাল থেকেও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারগুলোতে যান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। রাজশাহী মহানগরীর কুমারপাড়ায় থাকা স্বাধীনতা চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালসহ অন্যরা।

এর আগে সকাল ৮টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের নেতৃত্বে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকাল ৮টায় জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। এ সময় পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক  আনিসুর রহমান, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমানসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রংপুর 
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নগরীর মডার্ন মোড়ের স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ ‘অর্জন’-এ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, সিটি কেেপারেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সায়ফুজ্জামান ফারুকী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, র‌্যাব-১৩ কমান্ডার আরাফাত ইসলামসহ অন্যরা। এরপর নগরীর বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও সুরভী উদ্যানের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বরিশাল
ভোর ছয়টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তারা। পরে সকাল সাড়ে ছয়টায় ত্রিশ গোডাউনের কীর্তনখোলা তীরের বধ্যভূমিতে স্থাপিত স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বরিশাল সাংবাদিক ফোরাম বিএসএফের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করা হয়।

ববির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

খুলনা 
মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সর্বস্তরের মানুষ। প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। এরপর কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুনু রেজা, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কেডিএ, শ্রম দপ্তর, পিআইডি, সিভিল সার্জন দপ্তর, আনসার ভিডিপি, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, সিআইডি, পিবিআই, এপিবিএন, নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা কারাগার, ওয়াসা, পরিবেশ অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, আইনজীবী সমিতি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর, বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন, খুলনা প্রেস ক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনয়ন, খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এর আগে প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়।

গাইবান্ধা
সূর্যোদোয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির শুরু হয়। একই সময়ে পৌর পার্কের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য শাহ্ সারোয়ার কবীর বিজয়স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে পৃথক পৃথকভাবে জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক ম-ল, পুলিশ সুপার কামাল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, গাইবান্ধা প্রেস ক্লাব, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

গোপালগঞ্জ 
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের নিহত সদস্য ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় ফাহেতা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন।
এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের ও পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
 
চাঁদপুর 
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের পক্ষে নির্বাচিত কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সমাজ কল্যাণমন্ত্রীর পক্ষে মেয়র জিল্লুর রহমান, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যন ওসমান গণি পাটওয়ারী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর পক্ষে নেতাকর্মীরা, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের পক্ষে সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বগুড়া
ফুলবাড়ী এলাকার শহীদ স্মৃতি ফলক ‘মুক্তির ফুলবাড়ী’ ও শহীদ খোকন পার্কে প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রুহুল আমিন বাবলু, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা ও কেন্দ্রীয় নেতা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর নেতৃত্বে জেলা বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।

মুন্সীগঞ্জ 
শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সংবলিত  স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ। পরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে সেখানে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকাল ৮টার সময় জেলা স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করা হয়।

সাতক্ষীরা 
স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর মার্চপাস্ট, ডিসপ্লে ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বেলুন,  ফেস্টুন  ও  কবুতর  উড়িয়ে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. মতিউর রহমান সিদ্দিকী, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজি আরিফুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মইনুল ইসলাম মঈন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন মশু, মো. শফিক, বিএম আব্দুর রাজ্জাক, জিএম আব্দুল গফুরসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।
 
ভোলা 
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের জন্য দোয়া মোনাজাত করা হয়।  এ ছাড়াও ভোলা যুগীরঘোলে বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

লালমনিরহাট
মঙ্গলবার প্রত্যুষে লালমনিরহাটের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। সকাল ৬টা ১ মিনিটে সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ্, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ জেলার সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

ঠাকুরগাঁও 
স্মৃতিস্তম্ভ অপরাজেয় ’৭১ প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির পর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রথমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।  এরপর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠকসহ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও উদীচীসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এরপর সেখান থেকে স্বাধীনতা দিবসের একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মোহাম্মদ আলী, নরেশ চৌহনের কবরে ও ডিসি পার্কের মুজিববর্ষ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বাগেরহাট 
আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পায়রা ও বেলুন ওড়ানো, কুচকাওয়াজ, শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা, ডিসপ্লে, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, আলোকসজ্জা, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, আতশবাজি, ফানুস উৎসবসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করেছে।

শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক খালিদ হোসেন। এ সময় ফরিদা আক্তার বানু লুচি এমপি, পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান (পিপিএম). ডিডিএলজি ফকরুল হাসান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ঝুমুর বালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাস, সাদিয়া সুলতানা, ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অমীম কুমার সমদ্দার, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুজ্জামান প্রমুখ।
 
লক্ষ্মীপুর 
শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান লক্ষ্মীপুর সদর-৩ আসন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাহউদ্দিন টিপু, পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভুঁইয়া, সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবির, লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাব, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. জাকির হোসেন, সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলমসহ অন্যরা।

কুড়িগ্রাম 
সকাল ৮টায় কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ এবং ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ, জাতীয় সংগীত ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাব ও জেলা মোটর মালিক সমিতি  প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর হা-ডু-ডু প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভা জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহম্মদ সাইদুল আরীফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

খাগড়াছড়ি 
শহীদ স্মৃতি ফলকে প্রত্যুষে ৩১ তোপধ্বনির মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সেখানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। পরে একে একে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ঝালকাঠি 
মঙ্গলবার দুপুরে গাবখান মোহনা থেকে শুরু হয়ে ঝালকাঠি শহরের কলেজ খেয়াঘাট পর্যন্ত নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় ৬৪ মাল্লার ৭টি নৌকা অংশগ্রহণ করছেন এবং এদের গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া থেকে ভাড়ায় আনা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, ঝালকাঠি পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ, ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্স এবং শেখেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। 

জামালপুর
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান সদর আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। পরে জেলা প্রশাসক সফিউর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বিপিএম, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

পাবনা 
শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ দুর্জয় পাবনায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, পাবনা প্রেস ক্লাব, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টি, গণশিল্পী সংস্থা, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, ড্রামা সার্কেল, থিয়েটার ৭৭, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা মেডিক্যাল কলেজ, পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ, পাবনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দুর্জয় পাবনায় শহীদ স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।

মাগুরা
জেলা প্রশাসন ও স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন কমিটি প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করে। নোমানী ময়দান শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, মুক্তিযোদ্ধাগণ, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনগণ। মাগুরা-১ আসনের এমপির পক্ষ থেকে পৃথকভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।

টাঙ্গাইল 
মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে একত্রিশবার তোপধ্বনি ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। রাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম। এরপর জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।

পরে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ শেষে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ছানোয়ার হোসেন এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, খান আহমেদ শুভ এমপি, জেলার সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের জোয়াহের, সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি প্রমুখ।

নীলফামারী
ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির পর স্বাধীনতার বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে স্বাধীনতা অম্লান স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের মানুষ। প্রথমে রাষ্ট্রের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম। এরপর সেখানে পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নীলফামারী প্রেস ক্লাব, টিআইবি-সনাক, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।

নারায়ণগঞ্জ 
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের নেতৃত্বে চাষাঢ়ায় বিজয়স্তম্ভে ফুল দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপর শ্রদ্ধা জানায় জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের কর্মকর্তরা। পরে শ্রদ্ধা জানান জেলা সিভিল সার্জন, জেলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কেেপারেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও এলজিইডিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এরপর একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গ-সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

নেত্রকোনা 
সূর্যোদয়ের পর জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিপিবি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সকাল ৮টায় জেলা সদরের স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে।

রাঙ্গামাটি 
শহরের  স্মৃতিস্তম্ব চত্বরে  পুলিশ ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করেছে। পরে শহরের প্রবেশমুখে স্থাপিত জাতির জনকের ম্যুরালে ও  মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্বে  জেলা প্রশাসক  মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু  তৌহিদ,  পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয় বোর্ড সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার  সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুজ্জমান, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি  পৌরসভার চেয়ারম্যান আকবর হোসেন চৌধুরী   ও মুক্তি যোদ্ধারদের   পক্ষে থেকে পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।

বান্দরবান 
জেলা স্টেডিয়ামে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। এ সময় পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি দল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দলের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর শরীরচর্চা প্রদর্শন করা হয় এবং শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটিকে পালন করছে পার্বত্য জেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

ফরিদপুর 
সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের গোয়ালচামোট শহীদ স্মৃতিফলকে আসনের সংসদ সদস্য একে. আজাদ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ঝর্ণা হাসান, জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার  মোহাম্মদ  মোর্শেদ আলম, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ ও তার সব সহযোগী সংগঠন, জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ফরিদপুর প্রেস ক্লাব, ফরিদপুর পৌরসভা, ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জাতির বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

রাবি 
সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ও সকাল ৯টায় বধ্যভূমি স্মৃতিফলকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সকাল ১০টায় বিশ^বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলে এবং সকাল সাড়ে ১০টায় রাবি স্কুলে স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় সাবাশ বাংলাদেশ চত্বরে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জারের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

পরে বেলা সাড়ে ১২টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় রাবির শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক।
এদিকে সকাল ১০টায় রুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রশাসন। এর পর বেলা সোয়া ১১টায় রুয়েট হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

নড়াইল 
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ, গণকবর, বধ্যভূমি ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে এবং বাংলাদেশ চেতনা চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, নড়াইল পৌরসভা, জেলা আইনজীবী সমিতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোনাজাত, গণকবর জিয়ারত করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ্বজিৎ কুমার ভৌমিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম, স্থানীয় সরকার বিভাগ, নড়াইলের উপপরিচালক জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ঝিনাইদহ
শহরের পৌর স্মৃতিসৌধ পার্কে শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে প্রেরণা একাত্তর চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে রাষ্ট্রের পক্ষে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসান পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার সিদ্দিক আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, প্রেস ক্লাবের পক্ষে সভাপতি এম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিপলু জামান, সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

নওগাঁ 
প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা। পরে একে একে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পঞ্চগড় 
কালেক্টরেট চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ জেলা শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরী, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নরসিংদী 
প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের সূচনা, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর আগে ভোরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর প্রাঙ্গণে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএমসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শেরপুর
মঙ্গলবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করা হয়। পরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেরপুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ও পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম। পরে একে একে ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার শাম্মী, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রশীদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজাবে রহমতসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

শাবি
মঙ্গলবার সকালে পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও দেশাত্মবোধক গান প্রচার করে কর্তৃপক্ষ। এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আমিনা পারভীন, বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় 
জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় একাডেমিক ভবন-৩ এ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্বাধীনতা দিবসের সকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ শহীদ স্মৃতি বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. ফিরোজ আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফখরুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গাইবান্ধা 
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামের সুলতানা কামাল ইনডোর বলরুমে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য শাহ্ সারোয়ার কবীর।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রউফ তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, অধ্যক্ষ প্রফেসর খলিলুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল্লাহেল মাফী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক শাহজাদা, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াশিকার ইকবাল মাজু প্রমুখ।

গাজীপুর
ভোরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। এ সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ প্রশাসন ও পিবিআইসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণও শ্রদ্ধা জানান। সকালে গাজীপুর প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহ শামসুল হক রিপন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী এবং সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটিতে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ও লেডিস ক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়। 

পিরোজপুর
পিরোজপুরে নানা অয়োজনে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ভাগীরথি চত্বরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। এ ছাড়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, প্রেস ক্লাব, আওয়ামী স্বেচ্ছসেবক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

রাঙ্গামাটি 
শহরের  স্মৃতিস্তম্ব চত্বরে  পুলিশ ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করেছে। পরে শহরের প্রবেশমুখে স্থাপিত জাতির জনকের ম্যুরালে ও  মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্বে  জেলা প্রশাসক  মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু  তৌহিদ,  পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয় বোর্ড সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার  সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুজ্জমান, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি  পৌরসভার চেয়ারম্যান আকবর হোসেন চৌধুরী   ও মুক্তি যোদ্ধারদের   পক্ষে থেকে পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।

বান্দরবান 
জেলা স্টেডিয়ামে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। এ সময় পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি দল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দলের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর শরীরচর্চা প্রদর্শন করা হয় এবং শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটিকে পালন করছে পার্বত্য জেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

ফরিদপুর 
সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের গোয়ালচামোট শহীদ স্মৃতিফলকে আসনের সংসদ সদস্য একে. আজাদ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ঝর্ণা হাসান, জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার  মোহাম্মদ  মোর্শেদ আলম, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ ও তার সব সহযোগী সংগঠন, জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ফরিদপুর প্রেস ক্লাব, ফরিদপুর পৌরসভা, ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জাতির বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

রাবি 
সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ও সকাল ৯টায় বধ্যভূমি স্মৃতিফলকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সকাল ১০টায় বিশ^বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলে এবং সকাল সাড়ে ১০টায় রাবি স্কুলে স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় সাবাশ বাংলাদেশ চত্বরে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জারের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় রাবির শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক। এদিকে সকাল ১০টায় রুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রশাসন। এর পর বেলা সোয়া ১১টায় রুয়েট হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

নড়াইল 
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ, গণকবর, বধ্যভূমি ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে এবং বাংলাদেশ চেতনা চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, নড়াইল পৌরসভা, জেলা আইনজীবী সমিতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোনাজাত, গণকবর জিয়ারত করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ্বজিৎ কুমার ভৌমিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম, স্থানীয় সরকার বিভাগ, নড়াইলের উপপরিচালক জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ঝিনাইদহ
শহরের পৌর স্মৃতিসৌধ পার্কে শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে প্রেরণা একাত্তর চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে রাষ্ট্রের পক্ষে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসান পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার সিদ্দিক আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, প্রেস ক্লাবের পক্ষে সভাপতি এম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিপলু জামান, সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

নওগাঁ 
প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা। পরে একে একে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পঞ্চগড় 
কালেক্টরেট চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ জেলা শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, সিভিল সার্জন মোস্তফা জামান চৌধুরী, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত স¤্রাট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নরসিংদী 
প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের সূচনা, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর আগে ভোরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর প্রাঙ্গণে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএমসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শেরপুর
মঙ্গলবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করা হয়। পরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেরপুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ও পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম। পরে একে একে ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার শাম্মী, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রশীদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজাবে রহমতসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

শাবি
মঙ্গলবার সকালে পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও দেশাত্মবোধক গান প্রচার করে কর্তৃপক্ষ। এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আমিনা পারভীন, বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় 
জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় একাডেমিক ভবন-৩ এ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্বাধীনতা দিবসের সকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ শহীদ স্মৃতি বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. ফিরোজ আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফখরুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গাইবান্ধা 
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামের সুলতানা কামাল ইনডোর বলরুমে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য শাহ্ সারোয়ার কবীর। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রউফ তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, অধ্যক্ষ প্রফেসর খলিলুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল্লাহেল মাফী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক শাহজাদা, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াশিকার ইকবাল মাজু প্রমুখ।

গাজীপুর
ভোরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। এ সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ প্রশাসন ও পিবিআইসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণও শ্রদ্ধা জানান। সকালে গাজীপুর প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহ শামসুল হক রিপন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী এবং সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটিতে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ও লেডিস ক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়। 

পিরোজপুর
পিরোজপুরে নানা অয়োজনে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ভাগীরথি চত্বরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। এ ছাড়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, প্রেস ক্লাব, আওয়ামী স্বেচ্ছসেবক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

মেহেরপুর
প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক শামীম হাসান। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর  বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ৮টার দিকে স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করা হয়।

রূপগঞ্জ
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ মাঠে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। আরও উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আমান উল্লাহ প্রমুখ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়