ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শেরপুরে স্বপ্ননীড় পাচ্ছে আরো ২৫ ভূমিহীন পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:১৩, ১৫ জুন ২০২১  

ছবি: সংগ্রহীত

ছবি: সংগ্রহীত

মুজিববর্ষ উপলক্ষে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দ্বিতীয় ধাপে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে বাড়ি পাচ্ছে আরো ২৫ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।

আগামী ২০ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে সরাসরি সংযুক্ত হতে যাচ্ছেন এ উপজেলার হলদিগ্রাম এলাকায় সরকারি খাস জমিতে নির্মিত ঘরের উপকারভোগীরা। ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এসব ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হবে। এরইমধ্যে শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব প্রকল্প স্থান পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দ্বিতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে নতুন ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে দেয়া হচ্ছে। ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, রিকশাচালক, দিনমজুর, বিধবা, কাজের মহিলাসহ আরো ২৫টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে জমিসহ সেমি পাকা ঘর। এর আগে এ প্রকল্পের আওতায় প্রথম ধাপে উপজেলায় উপহার পেয়েছে ৫০টি ভূমিহীন পরিবার।

উপকারভোগীরা পাবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুই শতাংশ জমির মালিকানা। সেই সঙ্গে দুই কক্ষবিশিষ্ট নির্দিষ্ট ডিজাইন ও সুদৃশ্য রঙিন টিনশেডের দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি। এতে থাকছে বারান্দা, রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা। নলকুড়া ইউনিয়নের হলদিগ্রামে সরকারি খাস জমিতে নির্মিত প্রতিটি ঘরে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। জনপ্রতিনিধি, ভূমি এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কর্মকর্তার কার্যালয়ের সমন্বয়ে তৈরি করা এসব ঘর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা ভূমি এবং গৃহহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেয়ার কাজ শেষ হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতক জমির ওপর দুটি চৌচালা বিশিষ্ট রঙিন ঢেউটিনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরে দুটি করে জানালা, দরজা, ইটের দেয়াল এবং পাকা মেঝে রয়েছে। এছাড়া বারান্দা, রান্নাঘর, টয়লেট সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানির সুব্যবস্থা রয়েছে। 

ঝিনাইগাতীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় পরিবারের জন্য উপহার স্বরূপ এসব স্বপ্ননীড় তৈরি করে দিচ্ছেন। সরকারের এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং কোনো মানুষ যেন গৃহহীন না থাকেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়