ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৪ ১৪৩০

ময়মনসিংহের ত্রিশালের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঘাতক চালককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ১৯ অক্টোবর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ত্রিশালে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জন। সেই ঘাতক চালককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ। গতকাল দুপুরে সিআইডি সদরদপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্ত ধর জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা এক ড্রাম ট্রাকের সাথে যাত্রীবাহী এক বাসের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা সংঘঠিত হয়। উক্ত দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৫ জন মৃত্যুবরন করে।

গুরুতর আহত অবস্থায় ১০/১২ জনকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হইলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরাে ২ জন মারা যায়। দুর্ঘটনায় মােট ৭ জন মৃত্যুবরণ করলে মােঃ তাজ উদ্দিন (৪৮) উক্ত বাস ও ডাম্প ট্রাক এর অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযােগের প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার মামলা নং- ১১/৩০৯ তারিখ- ১৭/১০/২০২১ ইং ধারা- ৯০/৯৫/৯৮/১০৫ সড়ক পরিবহন আইন,২০১৮ রুজু হয় ।

মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। এলআইসির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম এর দিক নির্দেশনায় এলআইসি'র একাধিক চৌকস টিম দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে। নরসিংদী জেলার মনােহরদী থানার গােতাশিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্যাপার এম.এ রহিম নামীয় বাস নং ঢাকা মেট্রো ব-১১-০১৪৮ এর চালক মােঃ আনসার আলী (৩৬)কে  গ্রেফতার করে সিআইডি পুলিশ।  বাসটির চালক জানায়, গত ১৬/১০/২০২১ তারিখ ঢাকা মহাখালী টার্মিনাল হতে ১১:৩০ মিনিটে ৪২ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর এর ঝিনাইগাতী বাসস্ট্যান্ড এর উদ্দেশ্যে হয়।

একই তারিখ ও সময়ে একই স্থান হতে সৌখিন পরিবহনের একটি বাস প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা হয় । প্রায় সমস্ত রাস্তায়ই তারা প্রতিযােগিতা করে গাড়ী চালাতে থাকে । উক্ত তারিখ ও সময়ে ত্রিশাল থানাধীন চেলেরঘাট এলাকায় পৌছালে সৌখিন পরিবহন ও স্যাপার এম.এ রহিম নামীয় বাসের মধ্যে প্রতিযােগিতার এক পর্যায়ে স্যাপার এম.এ রহিম পরিবহনের বাসটি দ্রুত ও বেপরােয়া গতিতে গাড়ি চালাইয়া সেখানে রাস্তায় পার্কিংরত বিকল ড্রাম্প ট্রাকটিতে সজোরে ধাক্কা দিলে মুহুতেই বাসটি ধুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ৫ জন মৃত্যুবরণ করে। আহত ১০/১২ জনকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরাে ২ জন মৃত্যুবরণ করে। উক্ত ঘটনায় মােট ৭জন মারা যায় ।

দুর্ঘটনা সংঘঠিত হওয়ার সাথে সাথেই ঘাতক চালক আনসার আলী দ্রুত পালিয়ে যায় ।উক্ত ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২জন শিশু, ২ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ।তন্মধ্যে একই পরিবারের ৪ জন। তারা হলেন- ১। আজমল মন্ডল ফজু (৩৫), তার স্ত্রী- ২। ফাতেমা বেগম (২৫),তাদের ছেলে ৩। মােঃ আমানুল্লাহ (৫), তাদের মেয়ে ৪। মােছাঃ মারিয়া আক্তার(আজমিনা (৮)। এছাড়া ফজলুল হকের শ্বশুর নজরুল ইসলাম (৫৫) এবং মােঃ সিরাজ (৩৫) ও হেলেনা (৪০)।অতি অল্প সময়ের মধ্যে এরূপ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার হােতা ঘাতক চালককে গ্রেফতার সিআইডি তথা বাংলাদেশ পুলিশের একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন উল্লেখ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়