ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

‘ব্রা’র সাইজ কীভাবে মেজার করা যায়?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪  

‘ব্রা’র সাইজ কীভাবে মেজার করা যায়?

‘ব্রা’র সাইজ কীভাবে মেজার করা যায়?

‘ব্রা’ কেনার পর যদি সাইজই ঠিক না থাকে তাহলে কি কোনো লাভ হবে বলুন? আর তাই সবার আগে কোন ব্রা’টি আপনার জন্য সেই সাইজ মেজার করে নেয়া জরুরি।

চলুন তাহলে  ব্রা’র সাইজ মেজারমেন্টের প্রসেসটি জেনে নেই-

(১) সোজা হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ান। এবার একটি ইঞ্চি ফিতা নিয়ে ব্রেস্টের ঠিক নিচ বরাবর শরীরের চারপাশ ঘুরিয়ে মাপ নিন। ফিতা একদম টাইট করে ধরা যাবে না। একটি আঙুল ঢোকানো যায় এই পরিমাণ ফাঁকা রেখে সঠিক মাপ নিন।

(২) মাপ নেয়ার পর যে সংখ্যাটি পাওয়া গেলো সেটি আপনার আন্ডারবাস্ট নম্বর। যদি এই সংখ্যাটি জোড় হয়, তাহলে এর সঙ্গে ৪ যোগ করুন। যদি বিজোড় হয়, তাহলে যোগ করুন ৫। এবার প্রাপ্ত যোগফলটি আপনার ব্যান্ড সাইজ।

(৩) এবার আসুন আপার বাস্ট সাইজ মেজারের ক্ষেত্রে। এই মাপ নেয়ার জন্য ফিতা ব্রেস্টের ফুলার অংশে ধরুন।

(৪) আপার বাস্ট সাইজ থেকে ব্যান্ড সাইজ বাদ দিলে যে সংখ্যাটি পাওয়া যাবে সেটি হবে কাপ সাইজ।

(৫) ধরা যাক, আপনার আন্ডারবাস্ট নম্বর ২৯। বিজোড় বলে এর সঙ্গে ৫ যোগ করা হলো। ব্যান্ড সাইজ হলো ৩৪। আপারবাস্ট সংখ্যা হলো ৩৭। তাহলে, কাপ সাইজ হবে (৩৭-৩৪=৩)। এই সংখ্যাটি রেফার করছে কাপ সি। অর্থাৎ আপনার ব্রা’র মাপ হবে ৩৪ সি। (বিয়োগফল ১ অর্থে A, ২ অর্থে B, ৩ অর্থে C, ৪ অর্থে D, ৫ অর্থে E ইত্যাদি)। অর্থাৎ ডিফারেন্স ১ হলে কাপ সাইজ A, ২ হলে B এভাবে কাউন্ট করতে হবে।

(৬) ব্রা’র সাইজের ক্ষেত্রে ৩০AA, ৩২AA, ৩৪AA দেখা যায়। AA হচ্ছে সবচেয়ে ছোট কাপ সাইজ। যদি বাস্ট সাইজ ও ব্যান্ড সাইজের ডিফারেন্স ১ ইঞ্চির কম হয়, তাহলে এই সাইজটি সিলেক্ট করতে হয়।

কিছু সতর্কতা

> ড্রাই ওয়াশ বা ব্লিচ করার কোনো প্রয়োজন নেই
> শুধুমাত্র ডিটারজেন্ট দিয়ে হ্যান্ডওয়াশ করবেন
> একবার পরার পর অবশ্যই ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে ইউজ করুন
> আয়রন করার প্রয়োজন নেই
> ডার্ক কালারের ব্রা আলাদা ওয়াশ করুন
> ৩/৪ মাস পর পর ইনারওয়্যার বদলে ফেলুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়