বসন্তে রোগ প্রতিরোধ করবে যে ২ পদ, দেখুন রেসিপি

‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত’। বসন্ত বললেই এই প্রবাদটি প্রথম সবার মাথায় আসে। শীতের শেষ, গ্রীষ্মের শুরু। বাতাসের মিষ্টি হাওয়া এক মনোরম পরিবেশ তৈরি করে। কিন্তু এই মৌসুমে একটু ঠান্ডা, একটু গরম, এই আবহাওয়ার পরিবর্তন মানুষের শরীরে বেশ প্রভাব ফেলে।

তাই এই সময়ে ত্বক থেকে শুরু করে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে বিশেষ কিছু খাবার গ্রহণ করলে শরীরে রোগ–প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। যেমন কলমি শাক, ডাঁটা। কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। আপনাদের জন্য রইল তেমনিই ২টি খাবারের রেসিপি।

উপকরণ

১টি করলা (স্লাইস করে কাটা), ১টি মিষ্টি আলু, ১ কাপ বেগুন (৪ কোণা করে কাটা), ১ কাপ কুমড়া (৪ কোণা করে কাটা), ১০টি সাজনা ডাটা, ১/২ কাপ কাঁচা পেঁপে, ১/২ কাপ ঝঙা, ১/২ কাপ কাঁচকলা, ১/২ টেবিল চামচ সর্ষে পেস্ট, ১ টেবিল চামচ পোস্ত পেস্ট, ১ টেবিল চামচ চিনি, ১/২ কাপ দুধ, ২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া, ১ চা চামচ জিরে গুঁড়া, ১ চা চামচ মেথি, ১টি আস্ত শুকনা মরিচ, ১টি তেজ পাতা, ১ টেবিল চামচ আদা পেস্ট, ১ টেবিল চামচ ঘি, সর্ষে তেল (প্রয়োজন অনুযায়ী), লবণ (দরকার মতোন)৷

প্রণালী

ফ্রাইং প্যানে সর্ষে তেল গরম করুন। এবার তেলে বড়ি ছেড়ে সেগুলোকে বাদামি করে ভেজে নিন। এবার ওই তেলে করলাকে ভালো করে ভেজে নিতে হবে৷ পেপার তোয়ালেতে জড়িয়ে বাড়তি তেল ঝড়িয়ে নিয়ে একপাশে রেখে দিন এগুলো। ফ্রাইং প্যানে আরো ১ চামচ তেল দিয়ে ফের গরম করে নিন। এবার ওতে শুকনা মরিচ, তেজপাতা আর রাঁধুনি দিয়ে দিন। মশলা ফাটতে শুরু করলে সবজিগুলো দিন। অল্প ভাজা ভাজা হলে ওর মধ্যে লবণ এবং হলুদ গুঁড়ো দিতে হবে। অল্প আঁচে ৫ মিনিট মতো রান্না হতে দিন। এবার ওতে পেস্তা এবং সর্ষে পেস্ট দিয়ে ৫ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। জিরে গুঁড়ো এবং চিনি দিন। ১ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ১৫ মিনিট মতো লাগবে সবজি সেদ্ধ হতে। হয়ে গেলে বড়ি এবং করলা ভাজা ওতে দিন। আদা পেস্ট দিন। ৫ মিনিট নাড়াচাড়া করার পর ওর মধ্যে দুধ ও ঘি দিয়ে রান্না হতে দিন। ফুটতে শুরু করলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। ঠান্ডা হলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

উপকরণ

১ আঁটি কলমি শাক, ১টি মাঝারি মাপের আলু, ১ টেবিল চামচ কালো সর্ষে বাটা, ৫টি কাঁচা মরিচ বাটা, ১টি শুকনা মরিচ (ফোঁড়নের জন্য), ১/২ চা–চামচ পাঁচফোঁড়ন, ১/২ কাপ সর্ষের তেল, ১০ কোয়া রসুন থেঁতো, ১/২ চা–চামচ হলুদ গুঁড়া, স্বাদ মতো লবণ, অল্প পরিমাণ চিনি (না দিলেও চলে)।

প্রণালী

শাক বেছে লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। আলুর খোসা ছাড়িয়ে লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। সর্ষে, কাঁচা মরিচ বেটে নিন। রসুনের খোসা ছাড়িয়ে রাখুন। কড়াইতে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন শুকনা মরিচ ও রসুন থেঁতো করে ফোড়ন দিন। ফোড়নের ওপর শাক ও আলুগুলো দিয়ে নেড়ে চেড়ে লবণ ও হলুদ দিয়ে নেড়ে ঢাকা দিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর ঢাকা খুলে দেখুন শাক সিদ্ধ হয়েছে কিনা। শাক সিদ্ধ হলে সরষে ও কাঁচা মরিচ বাটা ও সামান্য চিনি দিয়ে নেড়ে চেড়ে নিন। ঠান্ডা হলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।