ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

তবে কি বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলো বাংলাদেশের?

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ২৯ অক্টোবর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন প্রায় শেষ হয়েছে বাংলাদেশের। সুপার টুয়েলভে টানা তিন ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড় থেকে মোটামুটি বাদ পড়ল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও হারে টাইগাররা। শুক্রবার তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও ৩ রানে হেরেছে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। এখন পরের দুটি ম্যাচে জয় পেলেও সেমিফাইনালে ওঠা কার্যত অসম্ভবই বাংলাদেশের।

তিন ম্যাচে বাংলাদেশের নামের পাশে কোনো পয়েন্ট নেই। এক ম্যাচ কম খেলে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে যথাক্রমে টেবিলের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। পরের দুটি ম্যাচে জিতলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৪। ফলে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি সমান পয়েন্ট হবে টাইগারদের, যা আপাত দৃষ্টিতে পরিসংখ্যানেই শোভা পায়। বাংলাদেশকেও তবু রানরেটের হিসাবে বাদ পড়তে হতে পারে। আর ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াও যে পরের তিন ম্যাচে কোনো জয় পাবে না তার গ্যারান্টি কি!

উইন্ডিজের দেওয়া ১৪৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৯ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। ফলে ৩ রানের জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুপার টুয়েলভে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৪৩ রানের জবাব দিতে নেমে ওপেনিংয়ে চমক দেয় বাংলাদেশ। নাঈম শেখের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি তার। ব্যক্তিগত ৯ রানে আন্দ্রে রাসেলের বলে হোল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাকিব।

লিটনের বাজে ফর্মের কারণে এই ম্যাচে ইনিংস শুরু করেন তিনি। সাকিব ফিরে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন লিটন দাস। সৌম্য সরকারের সঙ্গে জুটি গড়ে টেনে নিতে থাকেন দলকে। তবে ইতিবাচক খেলতে তাকা সৌম্য ফিরে যান ১৭ রান করে। সৌম্য ফিরলেও অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। তবে এদিন ব্যর্থ হয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিক। তার ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। রামপালের বলে অযাচিত শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি।

শেষদিকে রান তোলার চাপ নিতে পারেননি লিটন দাস। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। ব্রাভোর বলে আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪  রান। এরপর দায়িত্ব কাঁধে নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়াতে পারেননি টাইগার কাপ্তান।

ক্যারিবীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়ে যায় টাইগার ব্যাটসম্যানরা। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৪ রান। তবে রাসেলের ইয়র্কারে সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৯ রানেই থেমে যেতে হয় বাংলাদেশকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার, রবি রামপালরা ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয় শিবিরে শুরুতে আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। এভিন লুইসকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করেন কাটার মাস্টার। এরপর ক্রিস গেইলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান মেহেদী হাসান। ব্যক্তিগত ৪ রানে মেহেদীর শিকার হন গেইল। মেহেদী শিমরন হ্যাটমায়ারকেও সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান। ফেরার আগে শিমরন করেন মাত্র ৯ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে ক্যারিবীয় শিবিরকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। ১৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৬৪ রান তুলে উইন্ডিজ। কেইরন পোলার্ড রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে গেলে আন্দ্রে রাসেলকে রান আউট করেন তাসকিন আহমেদ। পোলার্ড ৮ ও রাসেল শূন্য রানে ফিরে যান সাজঘরে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেই চাপ সামলে উঠে নিকোলাস পুরান ও রোস্টন চেজের ব্যাটে ভর করে। দু‌'জন মিলে গড়ে তুলেন ৫৭ রানের জুটি। এ সময় শরিফুল ইসলামের বলে আউট হন হার্ডহিটার ব্যাটার নিকোলাস পুরান। পরের বলে শরিফুল ফিরিয়ে দেন রোস্টন চেজকেও। চেজকে সরাসরি বোল্ড করেন বাংলাদেশ তরুণ পেসার। ফেরার আগে নিকোলাস ২২ বলে এক চার ও ৪ ছয়ে করেন ৪০ রান। চেজ করেন ৩৯ রান। শেষ দিকে জেসন হোল্ডারের ১৫ রানে ভর করে ১৪২ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় দুই উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। দুটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়