ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

এবার ষড়যন্ত্রের খাতা খুললো আল-জাজিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৫৩, ১০ জানুয়ারি ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

এবার ষড়যন্ত্রের খাতা খুললো আল-জাজিরা প্রকাশের সময়: জানুয়ারি ৮, ২০২১, ৭:০৬ অপরাহ্ণ FacebookTwitterEmailPinterest সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করে ভারতের কয়েকটি মিডিয়া। এবার একই পথে হেঁটেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। গত ৩০ ডিসেম্বর আলজাজিরার ‘ইনসাইড স্টোরি’তে ভাসানচর নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনের শুরুতেই বলা হয়, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বিরোধীতার মধ্যেই বাংলাদেশের একটি প্রত্যন্ত দ্বীপে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা হচ্ছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের পর দ্বিতীয়বারের মতো তাদের জীবন এমন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। কারণ, সরকার চাপ প্রয়োগ করে তাদের দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় পাঠাচ্ছে।

অথচ ভাসানচরের সুযোগ সুবিধা দেখতে ইতোমধ্যে কয়েকবার বিদেশি সাংবাদিকদের সেখান থেকে ঘুরিয়ে আনা হয়েছে। সে সময় রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও উন্নত জীবন যাপনের জন্য সেখানে কি কি ব্যবস্থা রয়েছে তা বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানানো হয়। এরপর তারা এই বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্যও করেছেন।

পুরো প্রতিবেদনে ভাসানচরের স্থাপনার দৃশ্য দেখানো হলেও সেখানকার সুযোগ সুবিধা নিয়ে প্রতিবেদক একটা কথাও বলেন নি বরং উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকার কি তাদের নিরাপত্তার কোন নিশ্চয়তা দিতে পারছে? আর কেনই তাদের কোন স্থায়ী সমাধান দেয়া হচ্ছে না?

প্রতিবেদনে আবু সালেহ নামের এক রোহিঙ্গা তার ভাষায় জানান, সরকার আমাদের ভাসানচরে নিতে কোন চাপ দিচ্ছে না। সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে বলেই আমরা যাচ্ছি। কিন্তু প্রতিবেদক ইংরেজীতে বলেন, এক অজানা গন্তেব্যের দিকে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। বহু রোহিঙ্গা তাদের এই গন্তব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন।

প্রতিবেদনে নেভির রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল প্রতিবেদককে পূর্ণ নিরাপত্তার বিষয়টি অবহিত করে বলেন, বিশ্বের কোন দেশ এ পর্যন্ত উদ্বাস্তুদের জন্য এতো ভালো ব্যবস্থা নেয়নি। তবে প্রতিবেদনের শেষে প্রতিবেদক তানভির চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের হতাশা আরো বাড়ছে এবং সিদ্ধান্ত নেবার বেলায় তাদের কোন ভূমিকা নেই।

প্রতিবেদনে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থার যে বিরোধীতার কথা বলা হয়েছে সে তথ্যটিও মিথ্যা। ইতিমধ্যে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের বিষয়টি পর্যবেক্ষন করছে বলে জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এ ব্যাপারে ধীরে ধীরে নমনীয় হচ্ছে।
যদিও এই সমস্যা সমাধানের দ্বায়িত্ব বাংলাদেশের একার নয়। তবুও বারবার বাংলাদেশের দিকেই আঙুল ওঠানো হচ্ছে। যেটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়