ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আস্ত ভাসমান শহর বানাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৫, ১০ ডিসেম্বর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক উষ্ণতা ও সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের উপকূলীয় শহরগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানে আস্ত ভাসমান শহর বানানোর পরিকল্পনা করছে এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া।

এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান নগর কর্তৃপক্ষ বন্দরের কাছে একটি ভাসমান শহর নির্মাণ করবে। যেখানে ৩০০ থেকে ৫০০ লোক বসবাস করতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে এ ভাসমান শহরকে বর্ধিত করে ১০ হাজার লোকের বসবাস উপযোগী একটি জেলায় পরিণত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

একটি শহরে যেসব উপাদান থাকে, তার সবকিছুই এই ভাসমান শহরে থাকবে। শহরের অধিবাসীরা হাঁটা-চলা করতে পারবেন, নৌকায় চড়তে পারবেন। বিনোদনের জন্য সিনেমা হল, শপিং মল, স্কুল, খেলাধুলার স্থান সবই থাকবে।

শহরটির মধ্যে নিজস্ব সুপেয় পানি ও খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া শহরটি সুনামি ও ক্যাটাগরি-৫ হারিকেন মোকাবিলায় সক্ষম হবে। সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের উচ্চতাও বৃদ্ধি পাবে। এ শহর কখনোই বন্যায় আক্রান্ত হবে না।

বুসান শহর কর্তৃপক্ষ মনে করে এ প্রকল্পটি জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করবে। ২০২২ সাল থেকে শহরটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে।

প্রকল্পটির অর্থায়ন ও নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া বিজার্ক এঞ্জেল গ্রুপ (বিগ) ইউএন-হ্যাবিট্যাট থেকে শহরটি

নির্মাণের অনুমোদন নিয়েছে। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি নগরায়ণ নিয়ে কাজ করে।

শহর নির্মাণের ক্ষেত্রে সমুদ্র থেকে বালি উত্তোলনের ফলে এর বাস্তুসংস্থানের ক্ষতি হয়, যা পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। ভাসমান শহর হতে পারে এ ধরনের সমস্যার টেকসই সমাধান। এ বিষয়ে ইউএন হ্যাবিট্যাট বলেছে যে, ভাসমান শহর উপকূলীয় এলাকায় আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে আমাদের সাহায্য করতে পারে।
 
দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলীয় শহর বুসান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে হুমকির মুখে রয়েছে। গ্রিন পিস কোরিয়ার মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে এ শহরের বিখ্যাত সমুদ্রসৈকত হুন্দাই সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়