ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

শেখ হাসিনা ঘর দিয়া মায়ের উপকার করছে: দুলাল চন্দ্র পাল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সত্তোর বছরের বৃদ্ধ দুলাল চন্দ্র পাল। তার স্ত্রী লক্ষী রানীর বয়সও ষাটের বেশী। জায়গা-জমি নাই। নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর-পালপাড়ার এক ব্যক্তির জায়গায় ছাপড়া বেঁধে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন তারা।

এখন তাদের নিজের জায়গায় নিজের ঘর হচ্ছে। প্রভাবশালীদের দখলে থাকা জমি উদ্ধার করে এই জমিতে দুলাল চন্দ্র পাল দম্পতিকে থাকার ঘর বেঁধে দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এই দম্পতির মত একই জায়গায় নিজেদের থাকার ঘর পাচ্ছে আরো ছয়টি ছিন্নমূল পরিবার।

জানা যায়, এককালে সবই ছিল এই পাল দম্পতির। বিভিন্ন কারণে সর্বস্ব খুইয়ে এখন পরের আশ্রিত। দুলাল চন্দ্র পাল বলেন, “আমরা দুই বুড়া-বুড়ি। ছেলে-মেয়ে নাই। জমি-জমা নাই। তাহনের লাইগ্যা নিজেরার ঘর নাই। শেখ হাসিনা জায়গা দিছে, ঘর দিছে। মায়ের উপকার করছে। এই ঘর আমরার মা।”

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দুলাল চন্দ্র পালের মতো বিনা মূল্যে জায়গাসহ ঘর পাচ্ছেন উপজেলার সাত ইউনিয়নের ৪৭টি ছিন্নমূল পরিবার। এ সব পরিবারের লোকজন দীর্ঘকাল ধরে অন্যের বাড়িতে খুপরি-ঘর বেঁধে কোনরকম বসবাস করে আসছে। পালপাড়ার জমি ব্যক্তি-দখলে ছিল। দখলমূক্ত করে এখানে সাতটি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সব ঘরে ছিন্নমূল হেলাল মিয়া (৩৫), কাচা মিয়া (৫০), রুবেল মিয়া (২৮), উছমান গনি (৫৫), রেহেনা খাতুন (৪০) ও আলাল মিয়ার (৪১) পরিবারকে পুণর্বাসিত করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মোরশেদ বলেন, মুজিব জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে সরকার সারা দেশে “ক” শ্রেণীর ভ‚মি ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই আওতায় বারহাট্টায় বাছাইকৃত ৪৭টি পরিবারকে খাস জমি বন্দোবস্ত এবং এই জমিতে আধা-পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। বিদ্যূৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফজলুর রহমান একটি ঘরের ব্যয় বহন করছেন। গৃহহীন সকল পরিবারকেই পর্যায়ক্রমে পূর্ণবাসন করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ লতিফুর রহমান বলেন, “প্রতিটি ঘরের আয়তন ৪৯৫ বর্গফুট। দুইটি শয়ন কক্ষ, একটি রান্নার কক্ষ ও সংযুক্ত বাথরোম আছে। নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী নির্মান কাজ করা হচ্ছে।”

সর্বশেষ
জনপ্রিয়