তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করেই পৌরসভা নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আগ্রহ না থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন পৌরসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন দলের শীর্ষ নেতারা।
তৃণমূলের মতামত নিয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ঠিক করতে স্থানীয় নেতাদের এরই মধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এতে তৃণমূলের কোনো আগ্রহ নেই।
দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে ২৫৯টিতে ভোটের আয়োজন করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। এসব পৌরসভায় ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত চার-পাঁচ ধাপে ভোট করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বেশিরভাগ পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া হবে।
গত ৫ নভেম্বর স্থানীয় সরকারের প্রায় একশ প্রতিষ্ঠানে আগামী ১০ ডিসেম্বর ভোট নেয়ার দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে পাঁচটি পৌরসভাও রয়েছে। এছাড়া ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে প্রথম দফার সম্ভাব্য ২৫টি পৌরসভা নির্বাচনের ভোট নেয়া হতে পারে। চলতি সপ্তাহে এসব পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। পৌরসভা নির্বাচনের পর এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে শুরু হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, নির্বাচন নিয়ে তাদের দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অনীহা রয়েছে। তবে অনেক এলাকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শুধু নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে কিংবা দলীয় নির্দেশনা পালনের জন্য নামকাওয়াস্তে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছেন। আবার এলাকায় দল মনোনয়ন না দিলেও অনেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এরই মধ্যে এলাকায় গণসংযোগের মতো কর্মসূচি অনেকেই করছেন।
বিএনপির জেলা পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা জানান, তারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারবেন না বলে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইছেন না।
রাজশাহী বিভাগীয় এক নেতা জানান, সারাদেশের বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে, তাতে করে বর্তমানে কোনো নির্বাচনেই যাওয়া দলের ঠিক হবে না। নির্বাচনে যাওয়ার পূর্বে বিএনপির সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে।
বরিশাল বিভাগীয় তৃণমূলের এক নেতা জানান, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর উজিরপুর, বানারীপাড়া, মুলাদী, মেহেন্দীগঞ্জ, গৌরনদী ও বাকেরগঞ্জে পৌর নির্বাচন হয়। সবগুলোতেই মেয়র পদে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এবার উজিরপুরের পৌরনির্বাচনে এখনও নিশ্চুপ রয়েছেন বিএনপির প্রার্থীরা।
তিনি বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কয়েকটি আসনের উপ-নির্বাচনের ফলাফল পর্যবেক্ষণ করে বোঝা যায়, এই মুহূর্তে প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন করার অবস্থায় নেই বিএনপি। তাই আগে দলের অবস্থান মজবুত না করে, এসব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
- হলুদ সাংবাদিক কনক সারোয়ার গুজবের জন্মদাতা
- হ্যাঁ-না ভোট ও জিয়ার জোরপূর্বক রাষ্ট্রপতি হওয়া
- খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুরের পেছনে ফখরুলের ষড়যন্ত্র
- ‘পাক সেনা ক্যাম্পের নারী সাপ্লায়ার’ ছিলেন সাঈদী
- রাজধানীতে অস্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেফতার
- বাবুনগরী-মামুনুল এর ষড়যন্ত্র ফাঁস : ক্ষমতার লোভে আল্লামা শফি খুন
- অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে তৎপরতা চালাচ্ছে তারেক
- তারেকই বিএনপির প্রধান, নিরুপায় হয়ে পড়েছেন খালেদা
- অবশেষে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে আসলো বিএনপি
- বিএনপি নামক দলের সমর্থন করার কোনো মানেই হয় না: ডা. জাফরুল্লাহ