মুক্তির মেয়াদ বাড়লো খালেদার, মামার ওপর ক্ষেপলো তারেক
নিউজ ডেস্ক
তারেক রহমান
আগের দুই শর্তেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। এ নিয়ে ষষ্ঠ দফায় বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির মেয়াদ বাড়লো। আগের মতো এবারও এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ছয় মাসের জন্য। তবে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি পাওয়ায় নিজের মামার ওপর চরম ক্ষেপেছেন দলটির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
জানা যায়, গত ২৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এবারও শর্ত রয়েছে খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
তবে খালেদার এই মুক্তির খবরে তার বড় ছেলে তারেক রহমান খুশি নন। তিনি আবারও নিজের মাকে কারাগারে দেখতে চাচ্ছেন বলে জানিয়েেছে বিএনপির একটি সূত্র। কেননা মায়ের মুক্তি তার রাজনীতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসুস্থ খালেদা জিয়া নিজের বাসায় থাকায় ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন এবং রাজনীতি ও দলের খোঁজ খবর নিচ্ছেন, যা তারেকের পদ বাণিজ্যে ঝামেলার সৃষ্টি করছে। এ কারণে তিনি মনঃক্ষুণ্ন।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, দল থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন করতে নিষেধ থাকায় কেউ করেনি। কিন্তু পরিবার থেকে এই নিষেধ মানেনি। তারা দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কেন্দার মুক্তি বৃদ্ধির আবেদন করেন। আর এই কারণে মামার ওপর বেজায় ক্ষেপে আছেন তারেক। যদিও মুখে কিছুই বলতে পারছেন না।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। এরপর ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। মাঝে অসুস্থতার জন্য কয়েক দফায় হাসপাতালেও কিছু দিন ছিলেন তিনি।
২০২০ সালে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ছে। সর্বশেষ গত ৬ মার্চ নতুন আবেদন করেন তার ভাই শামীম এস্কেন্দার। তবে পরিবার খালেদাকে বিদেশ নিতে চাইলেও তাতে সায় দিচ্ছে না আইন মন্ত্রণালয়। খালেদার ভাইয়ের আবেদন পাওয়ার পর নির্বাহী আদেশের ভিত্তিতে বাড়ানো হচ্ছে খালেদার মুক্তির মেয়াদ।
উল্লেখ্য, ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকে আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। রায় হওয়া দুটি ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও ৩৫টি মামলা রয়েছে।
- হলুদ সাংবাদিক কনক সারোয়ার গুজবের জন্মদাতা
- হ্যাঁ-না ভোট ও জিয়ার জোরপূর্বক রাষ্ট্রপতি হওয়া
- খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুরের পেছনে ফখরুলের ষড়যন্ত্র
- ‘পাক সেনা ক্যাম্পের নারী সাপ্লায়ার’ ছিলেন সাঈদী
- রাজধানীতে অস্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেফতার
- বাবুনগরী-মামুনুল এর ষড়যন্ত্র ফাঁস : ক্ষমতার লোভে আল্লামা শফি খুন
- অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে তৎপরতা চালাচ্ছে তারেক
- তারেকই বিএনপির প্রধান, নিরুপায় হয়ে পড়েছেন খালেদা
- অবশেষে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে আসলো বিএনপি
- বিএনপি নামক দলের সমর্থন করার কোনো মানেই হয় না: ডা. জাফরুল্লাহ