ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভ্যাট নিবন্ধন নিলো মাইক্রোসফট

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ২ জুলাই ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

গুগল, অ্যামাজন, ফেসবুকের পর সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট এবার বাংলাদেশে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অনাবাসী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবসায় নিবন্ধন নম্বর (বিআইএন) নিয়েছে মাইক্রোসফট, যা ভ্যাট নিবন্ধন নামে পরিচিত।

ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট সূত্র জানিয়েছে, অনলাইনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অনাবাসী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাইক্রোসফটকে বিআইএন দেওয়া হয়েছে। মাইক্রোসফট রিজিওনাল সেলস পিটিই লিমিটেড প্রতিষ্ঠানকে এ কমিশনারেটের আওতাধীন সেগুনবাগিচা দপ্তরের অধীন মূসক নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সিঙ্গাপুরের ঠিকানায় নিবন্ধন নিয়েছে। মাইক্রোসফটের মূসক এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে পোদ্দার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট, যার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার পোদ্দার।

এর আগে ২৩ মে গুগল, ২৭ মে আমাজন ও ১৩ জুন ফেসবুক ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছিল। এখন থেকে এই চারটি প্রতিষ্ঠান নিয়মিতভাবে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করবে এবং ভ্যাটের অর্থ পরিশোধ করবে।

জানা গেছে, ভ্যাট নিবন্ধন নেয়ার সময় গুগল, আমাজন ফেসবুকের মতো মাইক্রোসফটও ব্যাংক হিসাব, ট্রেড লাইসেন্স ও আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ যাবতীয় তথ্য দিয়েছে। গুগল, আমাজন, ফেসবুক, মাইক্রোসফটসহ অনাবাসী প্রতিষ্ঠানগুলো (যাদের এ দেশে স্থায়ী কার্যালয় নেই) এ দেশে বিজ্ঞাপন প্রচারসহ নিজেদের নানা ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। এসব সেবা নিয়ে গ্রাহকরা ক্রেডিট কার্ড বা অন্য কোনো উপায়ে ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করে থাকেন। তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কেটে রাখেন। ভ্যাট কেটে না রাখলে বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশে ওই প্রতিষ্ঠানের অর্থ পাঠানোর অনুমতি দেয় না।

সূত্রমতে, এনবিআর থেকে ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স ও মাইক্রোসফটের মতো আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে সরাসরি নিবন্ধন নেয়ার সুযোগ দেয়। সেজন্য সরাসরি ভ্যাটের যাবতীয় সুবিধা দেয়ার জন্য বিধি সংশোধন করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ভ্যাট আইন অনুসারে, ভ্যাট পরিশোধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ভ্যাট এজেন্টরা দায়বদ্ধ। ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন পেতে এবং ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়ার জন্য সংস্থাগুলো ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখী হচ্ছে। তাই ভ্যাট আইন অনুসারে সরাসরি এই সেবা পাওয়ার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে দাবি ছিল। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ভ্যাটের সেবা পেতে ভ্যাট এজেন্ট নিয়োগ করতে হয়েছিল।

এ বিষয়ে সংস্থাগুলো এনবিআরকে বেশ কয়েকটি চিঠিও দিয়েছিল। এখানে তারা ভ্যাট দেয়ার বিষয়ে সরাসরি সেবা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশে স্থায়ী অফিস না থাকায় বিষয়টি এতদিন ঝুলে ছিল। এর আগে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ও মাইক্রোসফটের মতো আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থা বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব কোম্পানিকে হয় বাংলাদেশে অফিস স্থাপন করতে হবে, অথবা ভ্যাট এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। এই এজেন্টরা ব্যবসা পরিচালনা বাবদ বাংলাদেশ সরকারকে রাজস্ব দেবে।

‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ আইন অনুযায়ী ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল, আমাজন, মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানকে মূসক নিবন্ধন নিতে হবে এবং তাদের বাংলাদেশে অফিস স্থাপন অথবা মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। পরে ২০২০ সালের প্রথম দিকে আলাদা ভ্যাট নিবন্ধন নম্বরের আওতায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়