ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পরীমনিকে হেনেস্থাকারী নাসির উদ্দিন বিএনপির নেতা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:০০, ১৫ জুন ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সদা হাস্যোজ্জ্বল পরীমনি ১৩ জুন সন্ধ্যায় ৭টা ৫৩ মিনিটে ফেসবুক পোস্টে ‘আমাকে রেপ এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে’ বলে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন। এর কিছু সময় পর একটি সংবাদ সম্মেলনে কান্না কান্না কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, নাসির উদ্দিন মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি আমাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছেন। যিনি নিজেকে বোর্ড ক্লাবের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিত্রনায়িকা পরীমনিকে হেনেস্থা করা নাসির উদ্দিন মাহমুদ এক সময় বিএনপির বড় নেতা ছিলেন। আশির দশকের গোড়ার দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। পরে ১৯৯২এর দিকে বিএনপির রাজনীতির পাশাপাশি ডেভলপার ব্যবসা শুরু করেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ। সে সময় নামে বেনামে উত্তরার অন্তত ১০০ বিঘা তিনি দখল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিএনপির সমর্থক হওয়ায় ভূমি দস্যু হলেও তার বিরুদ্ধে ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতো না বলে জানা যায়।

২০০৭ সালে বিএনপি সরকারের পতন হলে খোলস বদলে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাপার নবম কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়।

নাসির ইউ মাহমুদ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) সাবেক নির্বাহী পরিষদের সদস্য। তিনি ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে উত্তরা ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি, লায়ন ক্লাবের ঢাকা জোনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

উল্লেখ্য, নায়িকা পরীমনি অভিযোগ করেছেন, বুধবার ৯ জুন রাতে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি ও বন্ধু অমিসহ তারা উত্তরায় বোট ক্লাবে গিয়েছিলেন। ক্লাবটা তখন বন্ধ হয় ।

দুজন বয়স্ক ব্যক্তি এসে তাদের মদপানের আমন্ত্রণ জানায়, যাদের একজন নাসির মাহমুদ বলে পরীমনির ভাষ্য। তবে শরীর খারাপ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন পরীমনি। কিন্তু তারা জোরাজুরি করতে থাকে। পানাহারে বাধ্য করতে তাকে মারধর করে কিছু লোক। এক পর্যায়ে নাসির মাহমুদ তার মুখে মদের বোতল ঠেসে ধরে গিলতে বাধ্য করেন। এসময় তাকে ধর্ষণের চেষ্টাও চালান তারা।

বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য ওই ব্যবসায়ী তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন বলে অভিযোগ করেন পরীমনি।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়