ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঐক্যফ্রন্ট আছে কি-না, জানেন না খোদ উদ্যোক্তরাই

প্রকাশিত: ১০:২৮, ২১ অক্টোবর ২০২০  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের রাজনীতিতে চমক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ বর্তমানে আছে কি নেই- এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারছেন না খোদ এর উদ্যোক্তারাই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, কার্যত এই ফ্রন্ট এখন আর নেই, বর্তমানে এটা অকার্যকর। ফ্রন্টের মূল শরিক বিএনপি মনে করছে ঐক্যফ্রন্টের গুরুত্ব এখন আর তাদের কাছে নেই। যার কারণে সম্প্রতি কয়েকটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়েও বিএনপি ফ্রন্টের কারো সঙ্গে আলোচনা করেনি।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে কাজ করেছেন আমাদের দলের মহাসচিব (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর), উনি ফ্রন্টের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ঐক্যফ্রন্ট এখন আছে, কী নেই—সেটি আমি বলতে পারছি না। এ ব্যাপারে আমাদের দলেরও কোনো নতুন সিদ্ধান্ত নেই।

এ বিষয়ে গণফোরামের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা সব সময়ই বলেছি বৃহত্তর এই ঐক্য রক্ষা করব। গণতন্ত্র ও সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে আমাদের সেই বক্তব্য এখনো অটুট রয়েছে।

ঐক্যফ্রন্ট গঠনের উদ্যোক্তা এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঐক্যফ্রন্ট আছে- এটা বলার মতো অবস্থায় নেই। আবার ঐক্যফ্রন্ট নেই- এটাও বলতে পারছি না। বিএনপি তাদের মতো করে রাজনীতি করছে।

ঐক্যফ্রন্ট বর্তমানে আছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ঐক্যফ্রন্টের বর্তমানে কোনো কার্যক্রম নেই। ফলে ঐক্যফ্রন্ট আছে কি-না, সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

নানা টানাপোড়েনের পর অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারাকে বাদ দিয়ে বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা দেন ড. কামাল হোসেন।

নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে সর্বদলীয় গ্রহণযোগ্য সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সব ‘রাজবন্দি’র মুক্তিসহ সাত দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্যে এ ফ্রন্টের ঘোষণা দেয়া হয়।

বিএনপি ও গণফোরাম ছাড়াও ঐক্যফ্রন্টে শরিক হয় আ স ম আবদুর রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য ও ড. নুরুল আমিন ব্যাপারীর বিকল্পধারার একাংশসহ কয়েকটি দল। বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নানা নাটকীয়তা শেষে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলেও ভোটের পর ফ্রন্ট থেকে সরে যায়।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গণভবনে দুই দফায় সংলাপে অংশ নেয় ঐক্যফ্রন্ট।

নির্বাচনে বিএনপির পাঁচজন ও গণফোরামের দুজন প্রার্থী জয়ী হন। নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিলেও নানা নাটকীয়তা শেষে বিএনপি ও গণফোরামের সব এমপিই শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেন।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়