ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন : পরিকল্পনামন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২১, ২৩ নভেম্বর ২০২২  

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে আমন হলুদ হয়ে উঠেছে (পাকা শুরু করেছে)। শিগগিরই কাটা শুরু হবে। আমন ধান উঠলে মূল্যস্ফীতি কমবে। প্রায় দুই বিলিয়ন খাদ্য মজুত আছে। মাঠের ধান উঠবে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি দুই মাস মূল্যস্ফীতি ভালোই নামবে।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে ব্রিফকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। চার হাজার ৮২৬ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে আটটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক।

মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মূল্যস্ফীতি ও মজুরি হারে কিছুটা সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। কমার মাত্রা খুব নয়। তবে কম। একটি নিম্নগামী আর একটি ঊর্ধ্বগামী। মজুরি হার কিছুটা বেড়েছে। এটি একটি ভালো লক্ষণ। এটি আমরা আজ বৈঠকে পুনরায় উল্লেখ করেছি।

তিনি বলেন, প্রবাসী আয় ইতিবাচকের দিকে মোড় নিয়েছে। বাছাই করে আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেটিও ভালো ফল দিয়েছে। আমদানি ব্যয়ের কারেন্ট একাউন্ট স্থিতিশীলতায় পৌঁছে গেছে। এটি একটি ভালো সংবাদ। সর্বশেষ রিজার্ভ কমাও থেমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েসের ঘটনা ঘটেছে। ঋণপত্র খোলার সময় আমদানি পণ্যের দাম বেশি দেখিয়ে বিদেশে এসব টাকা পাচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংক এসব তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে দিয়েছে। তারা এ বিষয়ে তদন্ত করছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিহ্নিত ওভার ইনভয়েসের বিষয়ে তিনি বলেন, এবার যেটি ধরা পড়েছে, আমাদের কাছে তা অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে। যারা কাজ করেন, তারা এটি জানেন। প্রথম কাজ ছিল এটি আটকে দেওয়া, যাতে আবার একই ঘটনা না ঘটে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।  

তিনি বলেন, যখনই কোনো সমস্যা হয়, তখনই কোনো নির্বাহীর প্রধান কাজ হয়, সেটি যেন আবার সামনে না আসে, তা ঠেকিয়ে দেওয়া। আমরা সেটা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার দিয়ে সেটা আটকে দিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, আমরা মনে করি সেখানে মিসট্রিট হয়েছে। কিন্তু এটি নিশ্চিত প্রমাণ করব এবং সমাধান করব। ফাইনালি বাংলাদেশে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা আছে, তারা এ নিয়ে খোঁজ খবর নেবে, তথ্য সংগ্রহ করবে। আমাদের আইনিভাবে এগোতে হবে। আইনের বাইরে আমাদের পা ফেলার কোনো অবকাশ নেই।

তিনি বলেন, এই ওভার ইনভয়েসিং চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে যেটি হয়েছে, এর ফলে আমাদের যে লাভ হয়েছে, আমরা তা চিহ্নিত করতে পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ফলে ফল পাওয়া যাচ্ছে। কারেন্ট অ্যাকাউন্ট একটা মিলের কাছাকাছি গেছে। এটি টেকসই কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না। এটি দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।  

সর্বশেষ
জনপ্রিয়