এই সন্ত্রাসীদের জায়গা বাংলাদেশে নেই : সেনাপ্রধান
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পাহাড়ে আতঙ্ক দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইনশা আল্লাহ জনগণের ভিতর শান্তি ফিরে আসবে এবং তারা দেখতে পারবে যে, এই সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা বাংলাদেশে নেই। ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, আতঙ্ক দূর করার জন্যই আমরা সশরীরে এখানে এসেছি। শনিবার রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করেছে।
গত মঙ্গল ও বুধবার দুই দিনে তিন ব্যাংকে ডাকাতি, অপহরণ ও গোলাগুলির প্রেক্ষাপটে গতকাল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শন শেষে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন মাঠে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।
পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) শান্তি আলোচনা শুরুর পর তাদের ‘বিশ্বাস’ করা হলেও তারা ভিতরে ভিতরে ‘ষড়যন্ত্র’ করেছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, তাদেরকে শুরুতে আমরা একটু বিশ্বাস করেছিলাম। শান্তি আলোচনা হচ্ছে, যেহেতু শান্তি আলোচনা শেষ হয়নি, শান্তির ভিতরেই শেষ হবে। কিন্তু এর ভিতরে এই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তবে কেএনএফ এর তৎপরতায় গত কয়েক দিনে পাহাড়ে নতুন করে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ‘সম্পূর্ণরূপে সক্ষম’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল হেলিকপ্টারে বান্দরবানে এসে রুমা ও থানচির পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। পরে তিনি বান্দরবান সেনা রিজিয়ন মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা এখন সরকারের ওভারঅল স্ট্র্যাটেজি অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে যেভাবে এটা সরকার চিন্তা করেছে, বাংলাদেশ সরকারের সমস্ত অর্গান, আমাদের সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ এবং অন্যান্য ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন, সব সমন্বিতভাবে আমরা এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করব। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যে দায়িত্বগুলো পালন করার, বিশেষ করে যৌথ অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া, সেইগুলো আমরা অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে করতে পারব বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অলরেডি পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। কিছু কার্যক্রম দৃশ্যমান, কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন না। বাট এর ফল আপনারা সময় মতো পাবেন ইনশা আল্লাহ। তিনি বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিষ্কার। বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, সেটাই করতে হবে। আর সেটা বাস্তবায়নে সক্ষম হব বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছি। পাহাড়ে সেনাবাহিনীর ১৩০টি ক্যাম্প সরিয়ে নেওয়ায় সেই সুযোগ কেএনএফ নিয়েছে কি না, সেই প্রশ্নে জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, সুযোগ তো কিছুটা নিয়েছে, যেসব জায়গায় গ্যাপ হয়ে গেছে, আমরা সেগুলো কিছু আবার ফিলাপ করছি। তিনি বলেন, যখন পরিস্থিতি অশান্ত হয় তখনই সেনাবাহিনীর দরকার। শান্তির ভিতরে সেনাবাহিনীর কী দরকার? যখন শান্তি থাকবে, তখন তো অসামরিক পরিবেশ, অসামরিক প্রশাসন, তারা সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করবে, প্রতিটা জায়গায় যা হচ্ছে, তাই হবে। এসব দৈনন্দিন কাজ তো সেনাবাহিনীর না। যদি অশান্ত হয় তখনই আমাদের দরকার হবে।
সেনাপ্রধান বলেন, আগে থেকে কেএনএফের ব্যাংকে হামলা, লুট কিংবা ম্যানেজারকে অপহরণের ব্যাপারে কোনো তথ্য ছিল না। গত ৩১ মার্চ বমদের বিভিন্ন গির্জায় সহায়তা দেওয়া হয়। এতে তারা খুশিও ছিল। হঠাৎ ২ এপ্রিল রাতে তারা হামলা চালায়, যা বিশ্বাস করার মতো নয়। এ ব্যাপারে সরকারের নির্দেশমতো কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
- ৭ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিলো সেনাবাহিনী
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ
- পর্যটন বিকাশে চালু হচ্ছে হোম স্টে সার্ভিস
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি যে কারণে কৃতজ্ঞ সেনাবাহিনী
- করোনা চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা
- আরো ২৪ ট্রেন চালু হচ্ছে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে
- অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়লো সাময়িক এনআইডির মেয়াদ
- প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপন হবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
- করোনা নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ৪ চীনা বিশেষজ্ঞ