শিক্ষা মন্ত্রণালয়-ইউজিসির বার্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল রোববার এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন।
সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ‘রিসার্চ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার’
শিরোনামে উদ্ভাবনী ধারণা গ্রহণের জন্য ইউজিসিকে অভিনন্দন জানানো হয়। এছাড়া, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সাফল্য ও দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদপত্র প্রদান কার হয়। কমিশনের পক্ষে ড. ফেরদৌস জামান অভিনন্দন ও সনদপত্র গ্রহণ করেন। সভায় ড. ফেরদৌস জামান দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এপিএ চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন করা গেলে শিক্ষা ও গবেষণায় দেশ এগিয়ে যাবে এবং বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাক্সিক্ষত স্থান অর্জন করতে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইউজিসি দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে। ইউজিসির এপিএ চুক্তির মূল উদ্দেশ্য দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং উৎকর্ষ সাধন করা।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চরএলাহী ঘাটসংলগ্ন সিরাজ মেম্বারের দোকানের সামনে কাদের মির্জা অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগ অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ অনুসারী রাজু, সাহেদ, আবদুর রহীম আহত হন। তারা বর্তমানে নোয়াখালী সদরের উডল্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অপরদিকে কাদের মির্জা অনুসারী কামাল, রুবেল, পিটন, সবুজকে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, গত শনিবার বিকাল ৪টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার
উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ছায়েদ একটি অস্ত্র মামলার তদন্তে চরএলাহী ঘাটে যান। ওই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ অনুসারী স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের ভাই খোকনের সাথে কাদের মির্জা অনুসারী কামালের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ চলে এলে বাকবিতণ্ডার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং সংঘর্ষে সাতজন আহত হন। উপজেলা আওয়ামী লীগ অনুসারী স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান বলেন, কাদের মির্জার অনুসারী হেলাল মেম্বার, বাহার, আনোয়ার, রাজ্জাকের নেতৃত্বে অসহায় তিনটি ছেলেকে একা পেয়ে বেধড়ক পিটিয়ে হা-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা চরএলাহীতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কোনো সংঘর্ষে জড়াইনি। কাদের মির্জার অনুসারী হেলাল হোসেন মেম্বার বলেন, রাজ্জাক চেয়ারম্যানের ভাই খোকনের নেতৃত্বে তাদের চার অনুসারীকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এ সময় ফাঁকা গুলি ছোড়ার আওয়াজ পেয়ে আমরা কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সংঘর্ষ এড়াতে বাড়িতে চলে যাই। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।
- যেভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন করা যাবে
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যা পড়ানো হয়
- এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন যেভাবে করবেন
- এসএসসির ফল দ্রুত জানার তিন উপায়
- সাত কলেজের বিষয় ও কলেজ পছন্দের ফল প্রকাশ হবে রাতে
- জাফরান চাষের সম্ভাবনাময় পদ্ধতি উদ্ভাবন শেকৃবি গবেষকের
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
- নতুন ডিগ্রী চালুর অনুমোদন পেল বাকৃবি
- এসএসসি: এসএমএসে ফল পেতে নিবন্ধন করেছে ৮ লাখ পরীক্ষার্থী
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি হয়নি, জানালেন সচিব