ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

তারেকের গ্রেফতারি পরোয়ানা, বাকি মামলার কি হবে?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৩, ৩ নভেম্বর ২০২২  

তারেকের গ্রেফতারি পরোয়ানা, বাকি মামলার কি হবে?

তারেকের গ্রেফতারি পরোয়ানা, বাকি মামলার কি হবে?

মামলা এজাহার ও সংশ্লিষ্ট নথি খতিয়ে দেখে পহেলা নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জমান এ আদেশ দেন।

আদালত আগামী বছরের ৫ জানুয়ারির মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে বলেছেন।

চলতি বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে দুদকের দায়ের করা এক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে, বাকি মামলার কি হবে। এতিমের অর্থ আত্মসাৎ থেকে শুরু করে অগণিত মামলার দায় রয়েছে তারেক রহমান ও তার দুর্নীতিপ্রেমী মা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে।

নাইকো দুর্নীতি মামলা

কানাডার জ্বালানি কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের চুক্তি করে রাষ্ট্রের প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা ক্ষতি করার এই মামলাটি হয় ২০০৮ সালে সেনা-সমর্থিত সরকারের সময়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় কানাডার পুলিশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের তিন তদন্ত কর্মকর্তার জবানিতে সংশ্লিষ্টতার কথা উঠে আসে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ মে তারেক-খালেদাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।

ড্যান্ডি ডায়িং ঋণ খেলাপি মামলা

১৯৮৭ সালে তারেক রহমান তার মামা সাঈদ এস্কান্দার ও ডান্ডি ডায়িং লিমিটেডের মাধ্যমে প্রথম ব্যবসা শুরু করেন। কোকো লঞ্চসহ নামে-বেনামে একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তারা। এতে নানাভাবে সম্পৃক্ত করেন তরুণদের।

তারেক রহমান তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে ১৯৯২ সালে তিন কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেড। পরের বছর সোনালী ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ নেন বিবাদীরা। এরপর নানা মেয়াদে নেয়া ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। পরে মোট ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম অর্থ ঋণ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

বিদ্যুতের খাম্বা দুর্নীতি

বিদ্যুতের খাম্বাসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সরকারের বড় বড় কেনাকাটা সবই তারেক রহমানের মাধ্যমে হয়েছে। বিদ্যুতের নামে খাম্বা দেখিয়ে তারেক রহমান সরকারের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেন। এমনকি মোটা অংকের টাকা মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগ করতে গিয়ে ধরাও পড়েন। অবৈধ টাকা হিসেবে মালয়েশীয় সরকার তা বাজেয়াপ্ত করেছে।

তারেক রহমানের দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক এ আরাফাত বলেন, সুখ ও শান্তিকামী খেটে খাওয়া বাংলার মানুষ ও তরুণ প্রজন্মের কাছে আর যাই হোক, দুর্নীতির স্থান নেই। তাই সব ভণ্ডামি ছেড়ে দুর্নীতিবাজ তারেককে সঠিক পথে ফিরে এসে ইতিহাস জেনে ও বুঝে কথা বলার আহ্বান জানাচ্ছে এ দেশের সতের কোটি মানুষ। অন্যথায় দুর্নীতির মহানায়ক তারেককে এদেশে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়