চট্টগ্রামে যুক্তরাজ্য-আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়ার করোনার ধরন শনাক্ত
নিউজ ডেস্ক
ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর গত একমাস ধরে দশটি নমুনার উপর গবেষণা চালিয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) একদল গবেষক। সেখানে তারা এসব নমুনার পূর্ণাঙ্গ জীবন নকশা উন্মোচন করে দেখেছেন, এগুলোর মধ্যে ছয়টি যুক্তরাজ্যের, তিনটি দক্ষিণ আফ্রিকার ও একটি অস্ট্রেলিয়ার ধরনের সঙ্গে মিলেছে।
সিভাসু উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নির্দেশনায় এ গবেষণা চালিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ডা. তানভীর আহমদ নিজামী।
এছাড়াও গবেষণায় সহযোগিতা করেছেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), ঢাকার গবেষক ড. মো. সেলিম খান ও ড. মো. মোরশেদ হাসান সরকার।
গবেষকরা জানান, শুরুতে করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচন করার জন্য দশটি নমুনা ঢাকার বিসিএসআইআরে পাঠানো হয়। সেখানে এসব নমুনার মধ্যে ছয়টির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের, তিনটির দক্ষিণ আফ্রিকার ও একটির অস্ট্রেলিয়ার ধরনের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে। তবে কোনো নমুনাই ভারতের সঙ্গে মেলেনি। আবার নমুনা সংগ্রহ করা এসব রোগীদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
নমুনা বিশ্লেষণে করে গবেষকরা আরও জানান, চট্টগ্রামে ৫ এপ্রিলের আগেই যুক্তরাজ্যের ধরনের উপস্থিতি থেকে থাকতে পারে। একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনও ছিল বলে ধারণা করা হয়। এক্ষেত্রে আরও বেশি নমুনা বিশ্লেষণ করলে প্রকৃত চিত্রটি স্পষ্ট হতো বলে জানান তারা।
জানা গেছে, এপ্রিল মাসে চট্টগ্রামে হঠাৎ করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। একমাসেই মৃত্যু হয়েছে ১৩৬ জনের এবং আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ২৮৯ জন। হঠাৎ করোনা ভয়ংকর রূপ ধারণ করায় চট্টগ্রামের একদল গবেষক তার ধরন বের করার চেষ্টা করেছেন। একমাসের চেষ্টায় তারা রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছেন।
এ বিষয়ে সিভাসু উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ জাগো নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দেখে আমরা এটি ভারতের ধরন কি-না দ্রুত গবেষণা করে দেখি। একমাস পরে আমরা নিশ্চিত হই, এটির সঙ্গে ভারতের ধরনের মিল নেই। বেশিরভাগ যুক্তরাজ্যের ধরনের সঙ্গে এবং বাকিগুলো দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মিলেছে। এই তিন দেশের করোনাভাইরাস এতো বেশি ভয়ংকর না। তবে ভারতের ধরনের সঙ্গে যদি মিলত, তাহলে পরিস্থিতি খুব খারাপ হতো।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, করোনা গত মাসে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যায় পৌঁছে এখন আবার নেমে গেছে। একমাস আগে সিভাসু ল্যাবে নমুনার ৪২ শতাংশ পজিটিভ হতো এখন ৭ শতাংশ হচ্ছে। তবে এখন আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, ভারতের ধরন যেন বাংলাদেশে প্রবেশ না করে। একবার প্রবেশ করলে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্ট হবে।
ড. গৌতম বলেন, যেহেতু আমাদের তিন দিকেই ভারতের সীমান্ত আছে, সেহেতু ভারতের ধরন প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন কষ্ট হবে। তারপরও আমাদের কিছু নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে। ভারত থেকে দেশে আসলে অবশ্যই বাধ্যতামূলক ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। তাদের ট্রাক কিংবা পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকলে চালকদের করোনা নেগেটিভ সনদ নিশ্চিত করতে হবে। যতটুকু সম্ভব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখা উচিৎ হবে।
- ৭ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিলো সেনাবাহিনী
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ
- পর্যটন বিকাশে চালু হচ্ছে হোম স্টে সার্ভিস
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি যে কারণে কৃতজ্ঞ সেনাবাহিনী
- করোনা চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা
- আরো ২৪ ট্রেন চালু হচ্ছে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে
- অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়লো সাময়িক এনআইডির মেয়াদ
- প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপন হবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
- করোনা নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ৪ চীনা বিশেষজ্ঞ