প্রতারণা মামলায় আজ সাবরিনা-আরিফের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ
নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য রয়েছে।
ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। এ মামলাটিতে মোট ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
গত ১৮ অক্টোবর সর্বশেষ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন কারাগারে আটক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। জেরা শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্মচারী হুমায়ুন কবির ও তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ। পরের দিন ২৪ জুন হুমায়ুন কবির ও তানজিনা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একই দিন জেকেজির গুলশান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরী ৬ জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এরপর গত বছরের ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাবরিনাকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
গত বছরের ২০ আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। এরপর গত বছরের ২৭ আগস্ট মামলার বাদী মো. কামাল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সাবরিনা ও আরিফুলের নির্দেশে অপর আসামিরা রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন এবং জাল কোভিড-১৯ রিপোর্ট তৈরি করে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা জব্দ করা ল্যাপটপে পাওয়া গেছে।
এদিকে প্রতারণার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা মামলায় ডা. সাবরিনা শারমিন জামিন পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা থাকায় তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন।
- দুর্নীতিবাজ (অবঃ) কর্নেল শহীদকে সাধু বানানোর চেষ্টা কনক সারোয়ারের
- ভার্চ্যুয়াল কোর্টে ২৫ কার্যদিবসে ৫৩৬ শিশুর জামিন
- স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পাবেন আইনজীবীরা
- সুপ্রিম কোর্টের চলতি বছরের অবকাশকালীন ছুটি বাতিল
- ধর্ষণ মামলা আপস করার ক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই
- হাসিনুর রহমানঃ ভূতের মুখে রাম রাম!
- হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ১৮ বিচারপতি
- রিজেন্ট হাসপাতালে প্রতারিতদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ
- ভার্চুয়াল শুনানিতে ১৪৪ আসামির জামিন
- বিজিবির ১১৯ মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন স্থগিত