জেএমবির সামরিক কমান্ডার নোমানের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর

নব্য জেএমবির সামরিক শাখার কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছিরের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল নোমানকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর পল্টন থানার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে দশদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তার সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর দারুসসালাম থানার মিরপুর মাজার রোড এলাকা থেকে নোমানকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল নোমান নব্য জেএমবির বর্তমান সামরিক শাখার একজন সক্রিয় দায়িত্বশীল সদস্য। তিনি মূলত নব্য জেএমবির আমির মাহাদী হাসান ওরফে জনের নির্দেশে সামরিক শাখায় কাজ করতেন। ২০১৭ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে দাওয়াত পেয়ে নব্য জেএমবিতে যোগ দেন এবং ফেসবুকে সদস্য সংগ্রহসহ উগ্রবাদী কার্যক্রম চালাতেন।

সংগঠনের অপর সদস্য আবু মোহাম্মদের নির্দেশে আব্দুল্লাহ আল নোমান ঢাকার মান্ডা এলাকায় এককভাবে রুম ভাড়া করে থাকতেন। তাকে আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বানানোর ভিডিও টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠান আবু মোহাম্মদ। আইইডি তৈরির ভিডিও দেখে দক্ষতা অর্জন করেন নোমান। এরপর আইইডি তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করে সেটি তৈরি করেন।

মামলার সূত্রে আরও জানা যায়, জেএমবির পক্ষ থেকে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে তার পছন্দমত এলাকায় ওই আইইডি দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশ পাওয়ার পর পূর্ব পরিচিত ও চাকরির স্থান হওয়ায় পল্টন এলাকা বেছে নেন নোমান।

পল্টন মোড়ের পুলিশ চেকপোস্টের আশেপাশে সিসি ক্যামেরা না থাকায় সে স্থানটি রেকি করেন। এরপর গত ২৪ জুলাই তার তৈরিকৃত আইইডি পুরানা পল্টন মোড়ের পুলিশ চেকপোস্টের সামনে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটান। এ সংক্রান্তে পল্টন থানায় একটি মামলা হয়েছিলো।

আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছির ২০১৮ সালে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি একবছর তিন মাস পরে জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় নব্য জেএমবির সঙ্গে সক্রিয় হন।

নোমান গত ২৪ জুলাই পল্টনে পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ জানায়। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোর্ট থানার মেরকোট গ্রামে।