কোভ্যাক্সের ১ কোটি ৯ লাখ ডোজ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ
নিউজ ডেস্ক
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অলাভজনক স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভি পরিচালিথ কোভ্যাক্স কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশকে ১ কোটি ৯ লাখ ৮ হাজার ডোজ কোভিড-১৯ এর টিকা দেয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
ডব্লিউএইচও’র কোভ্যাক্স সরবরাহ উদ্যোগের আওতায় স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টিকা সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহের প্রথম পর্বের পরিকল্পনা গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে।
আগামী মে মাসের মধ্যে বিশ্বের ১৪২টি দেশে মোট ২৩ কোটি ৮২ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হবে। কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় প্রথম দফায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের তৈরি ২৩ কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি ১২ লাখ ডোজ টিকাও এরমধ্যে থাকবে।
বাংলাদেশ ছাড়া বেশি টিকা পেতে যাওয়া দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ১ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার, নাইজেরিয়া ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার, ইন্দোনেশিয়া ১ কোটি ১৭ লাখ ৪ হাজার ৮০০ টিকা পাবে।
টিকা পাওয়ার তালিকায় সংখ্যার দিক থেকে ব্রাজিল পাচ্ছে ৯১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ টিকা, ইথিওপিয়া ৭৬ লাখ ২০ হাজার, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গো ৫৯ লাখ ২৮ হাজার, মেক্সিকো ৫৫ লাখ ৩২ হাজার, মিসর ৪৩ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ এবং ভিয়েতনাম ৪১ লাখ ৭৬ হাজার টিকা পাবে।
ইরান, মিয়ানমার, কেনিয়া ও উগান্ডা ৩০ লাখের বেশি টিকা পাবে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, প্রথম রাউন্ডের টিকার সরবরাহ এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ভারত, ঘানা, কম্বোডিয়া ও আইভরিকোস্ট টিকা পেয়েছে। ঘানা ও আইভরিকোস্ট গত সোমবার (১ মার্চ) থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বহুল প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং প্রথম ৫ জনকে টিকা দেয়া দেখেন। সব মিলিয়ে উদ্বোধনী দিনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২৬ জনকে টিকা দেয়া হয়। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে একযোগে শুরু হয় করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম।
৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ২১ দিনে প্রথম ডোজের টিকা গ্রহিতার সংখ্যা ছিল ৩১ লাখ ১০ হাজার ৫২৫ জন। টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ২০ লাখ ১২ হাজার ১৮১ জন পুরুষ ও ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৪ জন নারী রয়েছেন।
বাংলাদেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া হচ্ছে। সবাইকে এ টিকার দুটি করে ডোজ নিতে হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তাদের এ টিকা নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে এবং ৭০ শতাংষ স্বেচ্ছাসেবীকে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পেরেছে।
করোনার এ টিকা গ্রহণের পর কারও কারও হালকা জ্বর, গা ব্যথা, ক্লান্ত অনুভবের মতো কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও এ নিয়ে আতঙ্ক কিংবা অস্বস্তির কিছু নেই- বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর বাংলাদেশে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে এখন তেমন মারাত্মক কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়নি।
- ৭ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিলো সেনাবাহিনী
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ
- পর্যটন বিকাশে চালু হচ্ছে হোম স্টে সার্ভিস
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি যে কারণে কৃতজ্ঞ সেনাবাহিনী
- করোনা চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা
- আরো ২৪ ট্রেন চালু হচ্ছে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে
- অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়লো সাময়িক এনআইডির মেয়াদ
- প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপন হবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
- করোনা নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ৪ চীনা বিশেষজ্ঞ