কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে শোক দিবসের আলোচনা সভা
নিউজ ডেস্ক
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে শোক দিবসের আলোচনা সভা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনকের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত সভাপতিত্ব করেন এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক।
অনুষ্ঠানের পরিচালনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেসের ডিন প্রফেসর ড. জহুরুল আলম এবং অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক আনুশা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, বিবিসির জরিপ অনুযায়ী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কারণ তিনি পুরো জীবন আত্মত্যাগ করেছেন। প্রায় চার ভাগের এক ভাগ সময় তিনি জেলে কাটিয়েছেন এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য।
বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, সুজলা সুফলা এদেশের মানুষ যদি নিজেকে না চেনে আর যতদিন এরা নিজেদেরকে চিনবে না এবং বুঝবে না ততদিন এদেশের মানুষের মুক্তি আসবে না। বঙ্গবন্ধুই প্রথম ব্যক্তি যিনি এই জাতির মুক্তির জন্য চিন্তা করেছেন তিনি আমাদের সবাইকে একটি আইডেন্টিটি আত্মপরিচয় দিয়েছেন।
ড. নাফিজ সরাফাত তার সমাপনী বক্তব্যের শুরুতে অধ্যাপক জিয়া রহমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। কেননা তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে খুব সুন্দরভাবে ৭৫ এর বঙ্গবন্ধুর এই ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছেন। কেননা এই প্রজন্মের আমরা অনেকেই তখনকার সময়ে ছিলাম না। শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যে মানুষটার জন্য আজকে বাংলাদেশের জন্ম হলো, যে মানুষ তার সব কিছু আত্মত্যাগ করে পুরো জীবনের বড় একটা সময় জেলে কাটালেন; সে মানুষটাকে কীভাবে সপরিবারে হত্যা করা যায়; ওই বাঙালিই তাকে হত্যা করল। তাহলে এটা কি প্রমাণ হয় না যে বাঙালি জাতি আমরা বেইমানের জাতি। মেনে নেওয়া যায় না। যার জন্য আমরা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার সুযোগ করে দিতে পেরেছি কিংবা আজকে এই ইউনিভার্সিটি জন্ম হয়েছে। আমরা আজকে নিজেদের পরিচয় দেই যে, এই ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা কিংবা ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কথা উল্লেখ করে ড. নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এ রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না যে ১০ বছরের ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলকেও ওরা রেহাই দেয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি হয়েও ৩২ নম্বরের বাড়িতে থাকতেন। তিনি এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, কোনোভাবেই তাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তাকে বলা হয়েছিল- সিকিউরিটির জন্য আপনার গণভবনে থাকা দরকার। কিন্তু ওনার বিশ্বাস ছিল যে এ দেশের মানুষ তাকে মারতে পারে না।’
জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করেন তিনি বলেন, ‘পুরো পৃথিবীতে এখন এক ধরনের যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা বিরাজ করছে। সারা দুনিয়া সাফার করছে, আমরাও কিছুটা সাফার করছি। তারপরও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সবক্ষেত্রে ঘটনা ঘটার আগেই চিন্তা করে সংশোধন করে দিচ্ছেন।’
- ৭ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিলো সেনাবাহিনী
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ
- পর্যটন বিকাশে চালু হচ্ছে হোম স্টে সার্ভিস
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি যে কারণে কৃতজ্ঞ সেনাবাহিনী
- করোনা চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা
- আরো ২৪ ট্রেন চালু হচ্ছে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে
- অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়লো সাময়িক এনআইডির মেয়াদ
- প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপন হবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
- করোনা নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ৪ চীনা বিশেষজ্ঞ