ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

পাপুলকে ২১ দিন কুয়েতের কারাগারে রাখার নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ২৫ জুন ২০২০  

অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলকে রিমান্ডে টানা ১৭ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২১ দিন কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল।

গতকাল বুধবার কুয়েতের আরব টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার তাকে ২১ দিনের জন্য কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ হয়েছে।

পাপুলের পাশাপাশি তার মালিকাধীন মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মুর্তজা মামুনকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আরবি দৈনিক আল-কাবাস।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের কুয়েতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।

পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। আটকের পরদিন থেকে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিলো।

বাংলাদেশের এই এমপি রিমান্ডে যা বলেছেন, তা প্রসিকিউটরদের বরাতে প্রকাশ করছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। কুয়েতি কর্মকর্তাদের তিনি কীভাবে কত টাকা ঘুষ দিয়েছেন, সেসব কথাও সেখানে আসছে।

কুয়েতি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাপুলের মদদদাতা হিসাবে এরইমধ্যে সাতজনকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা; তাদের মধ্যে কুয়েতের দুইজন বর্তমান এবং একজন সাবেক পার্লামেন্ট সদস্যও রয়েছেন। তবে কুয়েতের বর্তমান দুই এমপি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে খবর দিয়েছে কুয়েত টাইমস।

সাধারণ শ্রমিক হিসাবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রী সেলিনা ইসলামকেও সংরক্ষিত আসনে এমপি করে আনেন তিনি।

প্রবাসী উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠিত এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান পাপুল, যেখানে তার বড় অঙ্কের শেয়ার রয়েছে।

মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির প্রায় ৯ হাজার কর্মী রয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের এর আগে জানিয়েছিলেন পাপুল। যাদের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি। লোক নিয়োগে ৩৪টি সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর মধ্যে পাপুল ও তার কোম্পানির ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে কুয়েত কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির হিসাবে প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা রয়েছে বলে এর আগে পাবলিক প্রসিকিউশনের বরাতে জানিয়েছিল কুয়েতি গণমাধ্যম।

পাপুল যাদের ঘুষ দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কুয়েতের দুর্নীতি দমন সংস্থা ‘নাজাহা’।

বাংলাদেশেও পাপুলের অবৈধ সম্পদের খোঁজে তৎপর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে পাপুল এবং তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে সংস্থাটি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়