জনগণ আমাদের শক্তি, তারা চেয়েছে বলে এসেছি : শেখ হাসিনা
নিউজ ডেস্ক
![প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা](https://www.banglarkolorob.com/media/imgAll/2020Aprila/শেখ-হাসিনার-বানী-2402110556.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ আমাদের শক্তি, তারা চেয়েছে বলে এসেছি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ আমাদের শক্তি। এই দলটির নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা এখানে। বারবার নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত হয়েছে। সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি।গতকাল শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, সব জায়গায় চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এতে আপনাদের নজর দিতে হবে। কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্য পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। চাঁদাবাজি ও মজুতদারির জন্য যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে সেটি দেখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এসে নির্বাচন বানচাল করার জন্য জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ শুরু করল। কারণ তারা জানত, জনগণের জন্য কাজ করে আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে। এজন্যই তারা নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করেছে। এই কাজে উৎসাহ যুগিয়েছিল তাদের কিছু প্রভু।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার তাদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।
বিশেষ বর্ধিত সভার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত। সমাজের প্রত্যেকটা স্তরের মানুষ কেউ যাতে অবহেলিত না থাকে, সে অনুযায়ী, আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করেছি। জনগণের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। নির্বাচনী যাতে না হয় অর্থাৎ নির্বাচন হলে বাংলাদেশের মানুষের যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে, সেটি অনেকের সহ্য হয়নি, তাই এমন একটা চক্রান্ত করা শুরু করেছিল।
দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। ভোটকেন্দ্রে যাতে ভোটার আসে, নির্বাচন যেন উৎসবমুখর হয়, সেদিকে নজর রেখে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমাদের অনেকেই নির্বাচন করেছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে মন কষাকষি আছে, দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে।
এখন এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে আমরা সমাধান করবো। কিন্তু নিজেরা আত্মঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এবার নৌকার জোয়ার ছিল, এ জোয়ারেও জিততে না পেরে একে-ওপরকে দোষারোপ করে লাভ নেই।
বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করছেন শেখ হাসিনা। এই সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, জেলা-মহানগর ও উপজেলা-থানা-পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানরা, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়ররা এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত রয়েছেন।সংসদের স্বতন্ত্র সদস্যরাও আওয়ামী লীগের এই বিশেষ বর্ধিত সভাংয় অংশ নিয়েছেন।
- President asks DSCSC graduates to use knowledge for people`s wellbeing
- ৭ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিলো সেনাবাহিনী
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ
- পর্যটন বিকাশে চালু হচ্ছে হোম স্টে সার্ভিস
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি যে কারণে কৃতজ্ঞ সেনাবাহিনী
- আরো ২৪ ট্রেন চালু হচ্ছে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে
- করোনা চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা
- অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়লো সাময়িক এনআইডির মেয়াদ
- পুলিশ সদস্যদের মনোবল অটুট রয়েছে : আইজিপি