ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

২০ দলীয় জোটের ব্যর্থতা সর্বমহলে নিন্দিত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২৭, ৪ মার্চ ২০২১  

অনলাইন ছবি

অনলাইন ছবি

বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ব্যর্থতা সর্বমহলে নিন্দিত হয়েছে। নিজেদের ওপর ভরসা হারিয়ে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যের ঘাড়ে চড়ে বসেছিল ২০ দলীয় জোট। কিন্তু ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে একে একে জোট ছাড়ছে রাজনৈতিক দলগুলো। সেই জোট ছাড়া দলগুলো বিভক্ত হয়ে পড়ছে।

২০ দল গড়ার আগে চারদলীয় জোট গঠন করেছিল বিএনপি। ১৯৯৯ সালের ৬ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম এবং ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে এ জোট গঠন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। সেই জোট থেকে প্রথমেই বেরিয়ে যান এরশাদ। যোগ দেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে। এর ফলে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল বিএনপির নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ১৮-দলীয় জোট। পর্যায়ক্রমে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও সাম্যবাদী দল যোগ দিলে তা পরিণত হয় ২০ দলীয় জোটে।

বিএনপির এ জোটে প্রথম ভাঙন লাগে ২০১৫ সালে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে জোট থেকে বেরিয়ে যায় শেখ শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। প্রয়াত নিলুর অভিযোগ ছিল ২০ দলীয় জোটে বিএনপি-জামায়াত সব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতো। এরপরের বছরই ফের ভাঙনের মুখে পড়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দীর্ঘদিনের জোটের সম্পর্ক ত্যাগ করে ইসলামী ঐক্যজোট। সরাসরি কাউকে দায়ী না করলেও নিজ সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী।

এরপর ভাঙন লাগে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এনডিপি)। এছাড়াও বিভক্ত হয় লেবার পার্টি ও জাগপা। সেক্ষেত্রে সবগুলো দলের একটি অংশ থেকে যায় ২০ দলে।

এদিকে জাতীয় মুক্তিমঞ্চ ইস্যুতে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি ভেঙেছে। এলডিপির শীর্ষনেতার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে গত বছরের ২৬ জুন পদত্যাগ করেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ আবদুল করিম আব্বাসী, সাবেক এমপি আবদুল্লাহ ও সাবেক এমপি আবদুল গণি ছাড়াও দলটির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। তাদের নেতৃত্বে এলডিপির একাংশ চলছে। তাদের দাবি, তারাই এলডিপির মূল শক্তি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন কেন্দ্রিক আসনসহ নানা সুযোগ-সুবিধা আদায় করতে ছোট রাজনৈতিক দলগুলো জোটে ভিড়ে। নির্বাচন শেষে তাদের কদর কমে যায়। পরে নিজেদের মধ্যে আত্মকলহে লিপ্ত হয়। তারই অংশ হিসেবে নানা সংকটে পড়া জামায়াত-বিএনপির শরিক দল এলডিপি, লেবার পার্টি, জাগপা, ইসলামী ঐক্যজোটসহ কয়েকটি দলের ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়