ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

হেফাজত নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে না আবার চোখ রাঙানোর সুযোগ খুঁজছে?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ৮ মে ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মামুনুল হকের গ্রেপ্তার, জুনায়েদ বাবুনগরীর নির্বাসিত জীবনযাপন এবং অনেক নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পরও সুযোগ পেলে আবার চোখ রাঙাবে হেফাজত ।

মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে হেফাজতের কয়েকজন শীর্ষ নেতা দেখা করেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজী, মাওলানা ইয়াহিয়াসহ আরো ক’জন।

এটি অন্য বৈঠকগুলোর মতো গতানুগতিক বৈঠক ছিল না। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হেফাজতের নেতাদের গ্রেপ্তার হয়রানি বন্ধ করাসহ চার দফা দাবি উপস্থাপন করেছেন। এটির মাধ্যমে একটি অবস্থান সুস্পষ্ট করলো- শেষ হয়ে যায়নি তাদের রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা।ভেতরে ভেতরে চলছে তাদের নাশকতার প্রস্তুতি।

আর এই বৈঠকের সূত্র ধরেই একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, হেফাজত ঈদের পরে একটি বড় ধরনের শোডাউন এবং আন্দোলনের পরিকল্পনা করে এগুচ্ছে।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলেছেন, ঈদের পর লকডাউন তুলে নিলেই আটক গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে হেফাজত একটি মহাসমাবেশ করতে পারে। রয়েছে মহাসমাবেশকে ঘিরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শাপলা চত্বরের পুনরাবৃত্তি ঘটানেরা পরিকল্পনা।

শক্তি সঞ্চয় করছে হেফাজত। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সাহস দেবার জন্য জন্যই ঘনঘন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছে তারা।

হেফাজতের যারা বর্তমানে মুক্ত নেতা আছেন তারা এটি প্রমাণের চেষ্টা করছেন যে হেফাজত শেষ হয়ে যায়নি, হেফাজত এখনো শক্তিশালী। সরকারের সাথে দেনদরবার করার মতো ক্ষমতা হেফাজতের রয়েছে। সে কারণেই গত ২০ এপ্রিল, ২ মে এবং গত মঙ্গলবার হেফাজতের নেতৃবৃন্দ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

সূত্র বলছে, হেফাজতের নেতারা গ্রেফতার হওয়ার পর হেফাজত দুটো কৌশল গ্রহণ করেছে। একটি কৌশল হলো- সরকারের সাথে যে কোন উপায়ে সমঝোতা করা। যেন সরকার তাদের উপর যে গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করেছিলেন সেটি বন্ধ করে এবং জুনায়েদ বাবুনগরী, নুরুল ইসলাম জিহাদীর মতো শীর্ষ নেতারা যেন মুক্ত থাকেন। সরকারের সঙ্গে আগের ঘনিষ্ঠতার আবহাওয়া তারা ফিরিয়ে আনতে চাইছে।

অপর কৌশল হলো- ভিতরে ভিতরে তারা আবার সংগঠিত হচ্ছে। নতুন করে হেফাজত সারাদেশে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং হেফাজতের অন্যান্যদের মাধ্যমে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

হেফাজতের একজন নেতা জানান, রমজান মাসে হেফাজতের শিক্ষার্থীরা কোন আন্দোলন সংগ্রামে যাবে না। আবার কওমি মাদ্রাসাগুলো বন্ধ। সেজন্য হেফাজতের এখন কৌশলটি খুব সুস্পষ্ট। তারা সরকারের সাথে একটা সম্পর্ক করে কওমি মাদ্রাসা আগে খুলে নিতে চায়। কওমি মাদ্রাসা খুলে নেওয়ার পরেই মামুনুল হকসহ হেফাজতের যে সমস্ত নেতৃবৃন্দ গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি দিতে চায়। আবার একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।

এই নেতা আরো জানান, হেফাজতের নেতারা ধৈর্য্য ধারণ করে আছেন, তারা ঈদ এবং লকডাউনের পর আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।

হেফাজতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হেফাজতের প্রতি সরকার দয়া বা করুনা করলে ফলাফল ভালো হবে না। সুযোগ পেলেই তারা আবার ফণা তুলবে।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়