ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সাদি থেকে বোক্কাচ্চিও: অতিমারির সাহিত্যিক উত্তরাধিকার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:০৬, ৬ মার্চ ২০২১  

অনলাইন ছবি

অনলাইন ছবি

কোভিড-১৯ জনিত ক্ষয়-ক্ষতি পৃথিবীজুড়ে যতটা না বেড়েছে বা বাড়ছে, ডাক্তাররা তত শুধু এই ভাইরাস নয়, উপরন্তু এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধরত মানুষের উদ্বেগ ও তীব্র ভীতি নিয়েও গভীর উদ্বেগ বোধ করছেন।

যেহেতু বিশ্বের মানুষকেই নির্জনাবাসে যেতে বলা হচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব এবং সন্ন্যাসীসুলভ জীবন পালন করতে বলা হচ্ছে; যাতে করে এই মানবীয় দুর্যোগের বক্র রেখাটিকে সমতল করা যায়, সেহেতু হালের বিশ্বায়িত গ্রামের জমিন এবং গঠন বিন্যাস যে বদলে যাচ্ছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। এবং এই বদলটা হচ্ছে বেশ দ্রুত তালেই। 
তাই আজকের মূল প্রশ্ন হচ্ছে- কিভাবে এই অতিমারিতে আমাদের মানসিক, নৈতিক, সৃজনশীল এবং মননশীল ক্ষমতাগুলোর স্বাস্থ্যবান ও সংহত রূপ টিকিয়ে রাখবো?

এখানে মানবতা আগে যেমনটি ছিল

সম্প্রতি আমি নিউ স্টেটসম্যান পত্রিকায় আন্দ্রে স্পাইসারের লেখা একটি মনোগ্রাহী প্রবন্ধ পড়লাম। বইটিতে গিওভান্নি বোক্কাচ্চিওর ১৪ শতকে লেখা বই ‘দেকামেরন’ সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি স্পাইসার আলোকপাত করেছেন যে কিভাবে সেই বই থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা এই করোনাভাইরাসের দিনগুলোতে বাঁচতে পারি। 
১৩৮৪ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে প্লেগ বা মড়ক ছড়িয়ে পড়লে বোক্কাচ্চিও এই বইটি লিখেছিলেন যাতে করে ‘মারী ও নির্জনাবাসের সময় কিভাবে মন ভালো রাখতে হয়’ সে বিষয়ে ইতালিয়দের কিছু জানানো যায়! বইটির তাজা গল্পগুলো কঠিন উদ্বেগের দিনগুলোতে কিভাবে মন ভালো রাখা যায়, সে বিষয়েই আমাদের যেন আভাস দেয়। 
দবোক্কাচ্চিও এটাই বলতে চেয়েছিলেন যে, নিজেকে আপনার গল্পের ঢাল দিয়েই রক্ষা করতে হবে। স্পাইসার আমাদের বলেন, ‘বোক্কাচ্চিও আপনাকে বা আপনাদের পরামর্শ দিয়েছেন যে কিভাবে শহর ছেড়ে পালিয়ে নিজেকে বাঁচাতে হবে, নিজেকে সবসময় হাসি-খুশি বন্ধুদের পাশে রেখে এবং মজার মজার গল্প বলে মনোবল জিইয়ে রাখতে হবে। সামাজিক নির্জনাবাস এবং মজার সব কাজ-কর্মের মিশেলে, অতিমারির মন্দতম সময় কাটাতে হবে।’

বোক্কাচ্চিওর এই রেসিপি আজকের অতিমারিতেও মিলে যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও কিন্তু বোক্কাচ্চিওর উপন্যাস আরো অনেক ক্ষেত্রেই প্রাসঙ্গিক হয়ে দেখা দিচ্ছে। যেমন ১৯৭১ সালে ইতালিয় পরিচালক পিয়ের পাওলো পাসোলিনির বানানো ‘ট্রিলজি অফ লাইফ’র প্রথম ছবিটিই হচ্ছে ‘দ্য দেকামেরন’। এই ট্রিলজির আওতাভূক্ত অন্য দুটো ছবি হচ্ছে ‘দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস’ এবং ‘দ্য এ্যারাবিয়ান নাইটস’। এই তিনটি ছবিতেই পাসোলিনি ফ্যাসিবাদ ও তার ক্ষমতার বিকারের ভেতর মানবতার দুর্ভোগ নিয়ে কাজ করেছেন।

পরবর্তী সময়ে পাসোলিনি তাঁর আর একটি মাস্টারপিস কাজ ‘সালো অর দ্য ১২০ ডেইস অফ সডোম-১৯৭৫’-এ আগের ট্রিলজির ভীতিবোধকেই প্রবলতর প্রান্তে টেনে নিয়ে যান। ফ্যাসিবাদ অথবা মড়ক কিংবা মড়কের রূপেই ফ্যাসীবাদের এই চেহারা আজকের মার্কিনী রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে কোভিড-১৯-কে ‘চৈনিক ভাইরাস’ বলার সঙ্গে সঙ্গে যেন মিলে যায়।

এমনকি পাসোলিনিরও আগে, আর্লবার্ট কাম্যুর ১৯৪৭ সালে লেখা মাস্টারপিস ‘দ্য প্লেগ’-এ একই ধরনের আবহ লক্ষ্য করা যায়। আলজেরিয় নগরী ওরানে মড়কের পরিপ্রেক্ষিতে মানবাত্মায় এক রূপক অতিমারি ও ব্যক্তির অস্তিত্বগত সংকটই কাম্যু তাঁর উপন্যাসে ব্যক্ত করেছেন। কাম্যু আসলে তাঁর উপন্যাসে দুটো প্রবল ঘটনার সমাপতন ঘটিয়েছেন। ১৮৪৯ সালে আলজেরিয়ার মড়ক এবং ইউরোপিয় ফ্যাসিবাদের উত্থান। সেই সাথে সম্মিলিত উন্মাদনার সময়ে আমাদের যাপিত জীবনাভিজ্ঞতা ও জীবনের যত নশ্বরতা বিষয়েও অবলোকন করেছেন। গোটা উপন্যাসে মড়কে মৃত মানুষদের গণকবরের কথা উল্লেখের মাধ্যমে কাম্যু মূলত: সূক্ষ্মভাবে ফ্রান্সে নাজি দখলদারিত্ব এবং বন্দী শিবিরগুলোর ভয়াবহতাকেই রূপকার্থে বলতে চেয়েছেন। মড়কের ভাবনাতেই যেন নিহিত রয়েছে এক প্রবল রূপকাভাস।

অবশ্য কাম্যুর উপন্যাসের আগেই ১৮৮২ সালে নরউইজীয় নাট্যকার হেনরিক ইবসেন তাঁর ‘পিপলস এনিমি’ উপন্যাসে জনতার একইরকম ভাবাবেগের বিষয় দেখিয়েছেন। গল্প বলা বা মঞ্চায়নের ক্ষমতায় যেন থাকে এমন এক প্রবল শক্তি যা একইসঙ্গে মানুষকে ভীত ও সতর্ক করে আবার তাকে স্বস্তি দেয় ও ভরসা যোগায়। এই একই রকমের প্রলুব্ধকারী দ্যোতনা কি আমরা খুঁজে পাইনি গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের ১৯৮৫ সালে লেখা উপন্যাস ‘লাভ ইন দ্য টাইমস অফ কলেরা’তেও?
কোভিড-১৯-এর এই সময়ে উপরোল্লিখিত সব গল্প-উপন্যাসের যাবতীয় রূপক যেন বাস্তবে রূপ লাভ করেছে। ওলফগ্যাং পিটারসনের ‘আউটব্রেক-১৯৯৫’ এবং স্টিভেন সোডারবার্গের ‘কন্ট্যাজিওন-২০১১’  সিনেমা দুটোও যেন ভবিষ্যতদর্শী সিনেমা হিসেবে মানুষের মনে জায়গা নিতে যাচ্ছে।

বহু চাঁদ আগে দামেস্কের এক দুর্ভিক্ষ

তবে বোক্কাচ্চিওর দেকামেরন অবলম্বনে পাসোলিনির চলচ্চিত্রে ফ্যাসিস্ট বাস্তবতার রূপক প্রদর্শন বা কাম্যু কি ইবসেনের লেখালিখির বহু আগেই বা স্বয়ং বোক্কাচ্চিওর লেখার এক শতাব্দী আগেই পারস্যের কবি শেখ সাদি তাঁর ‘শিরাজী’ গ্রন্থে একটি কবিতা লিখেছিলেন যা সম্প্রতি নিউ স্টেটসম্যান পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। আমার প্রজন্মে সব ইরানিকেই শৈশবে বা স্কুলে যাবার সময়ে এই শক্তিশালী কবিতাটির শুরুর চরণগুলো মুখস্থ করতে হতো:
‘মেস্ক নগরীতে একবার এমন এক দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো
যে প্রেমিক-প্রেমিকারা ভুলে গেল কাকে বলে প্রেম .. ‘

কবিতাটির বাকি অংশে সূক্ষাতিসূক্ষ নানা অনুষঙ্গের সঙ্গে বর্ণনা করা হয়েছে যে কিভাবে দীর্ঘ অবর্ষণে সিরিয়ায় নেমে এলো এক প্রবল দুর্যোগ যখন সমস্ত ঝর্নার জল গেল শুকিয়ে, কোন রান্নাঘর থেকে আর উনুনের ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে না, বৃদ্ধ বিধবারা শোকাকুল, চারপাশের পাহাড়গুলোতে কোথাও কোন গাছ নেই, ফলের বাগানগুলো ফলশূন্য, কীট-পতঙ্গেরা ফসল খেয়ে ফেলছে আর মানুষেরা খাচ্ছে সেই কীট-পতঙ্গ।

এরপরই সাদি তাঁর সব কবিত্ব শক্তি দিয়ে তাঁর এক বন্ধুর কথা তুলছেন যে এই দুর্ভিক্ষে অনেক শুকিয়ে গেছে। কবি সেই বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেন যে, সে কেন এতটা শুকিয়ে গেছে? যেহেতু কবির এই বন্ধু খুবই বিত্তশালী ব্যক্তি, তাঁর তো দুর্ভিক্ষে এতটা খারাপ হাল হবার কথা নয়। এরপরই এই কবিতার সবচেয়ে স্মরণযোগ্য অংশটুকু পাঠকের নজরে আসে:
‘আমার এ প্রশ্নের উত্তরে প্রাজ্ঞ সেই ব্যক্তিকে আহত বোধ হলো
তাকালেন যেভাবে তাকান কোনো প্রাজ্ঞজন কোনো মূর্খের দিকে
আমি একারণে দুর্বল নই যে আমার কোনো খাবার নেই,
আমি ব্যথিত দরিদ্রের অসহায় কান্নায়!’

সাদির এই কবিতাটি পড়লে দুটো প্রধান অনুভূতি হয় আমাদের: প্রথমত, সাদির কাব্যশৈলী, চিত্রকল্পের ব্যবহারে অসামান্য মুন্সীয়ানা, যে পরিমিতি বোধের সঙ্গে নিজের কথাকে এত প্রজন্ম পরেও পৃথিবীর সব প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে পারেন এবং দ্বিতীয়ত: সেই প্রবল ও অত্যুচ্চ নৈতিক কণ্ঠস্বর যার মাধ্যমে তিনি সমাজের শক্তিশালী মানুষদের কর্তব্য সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেন।

শূন্য তাক, ভয়ের নিজস্ব ভীতি

সাদির এই কবিতাটি আমি নিজে নিজে প্রায়ই আবৃত্তি করি যখন কিনা নিউ ইয়র্কে আমার পরিবারের জন্য কিছু না কিছু কেনাকাটা করতে বের হই। যেখানে আমরা যতটা সম্ভব নিজেদের নির্জনাবাসে রাখি। নিউ ইয়র্কের বিপণী বিতানগুলোয় আপনি দেখতে পাবেন একের পর এক শূন্য তাক। সম্পদশালীরা যেন বা অর্থবলেই লুট করে নিয়ে গেছে সব। যেন এক ভীত ও নিষ্ঠুর জনতা যাদের ন্যূনতম নাগরিক কর্তব্যের বোধ নেই, তারা বয়সে বৃদ্ধ প্রজন্ম বা অসহায় প্রতিবেশীদের কথা না ভেবে নিজেদের ঘর ভর্তি করার কথাই ভেবেছে। বার্নি স্যান্ডার্সের বলা ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’র কথা বা সেই বক্তব্যের প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের গভীরতা আন্দাজ করাই দূরূহ।

কিন্তু কিভাবে এক সর্বমান্য সংযম বোধের মাধ্যমে আমরা এই অতিমারি কাল অতিবাহিত করব? এই অতিমারি শুরু হবার বহু আগে, সেই ২০১২ সালে, জোনাথন জোন্স ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ একটি অসাধারণ প্রবন্ধ লিখেছিলেন। ‘কালো মৃত্যু দিয়ে ব্রাশ করা: কিভাবে শিল্পীরা প্লেগের ভেতরে এঁকেছেন’ নামী প্রবন্ধে জোনাথন দেখিয়েছেন যে- কিভাবে ১৩৪৭ সাল থেকে ১৭ শতক অবধি, ইউরোপ কালো মৃত্যুর ভয়ে তাড়িত হয়েছে, তবু ইউরোপে শিল্পকলা শুধু টিকেই থাকেনি, বরং এই সময়টায় আরো বিকশিত হয়েছে। এই নিবন্ধের শেষভাগে এসে জোন্স এটা বলে উপসংহার টানছেন: ‘মানুষের আছে এক অসামান্য প্রতিরোধ ক্ষমতা। আত্ম-করুণার উর্ধ্বে ওঠারও ক্ষমতা আছে তাদের। আজ যদি সেই বোধ তত স্পষ্ট মনে না হয়, তবে সন্ত পলের কথা ভাবুন, লন্ডনের আকাশে প্রশান্ত সেই ভাব, প্রতিদিনের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের যুগ থেকে যে বার্তা আমাদের দিকে প্রেরিত হয়- ভাবুন তার কথাও।’

কিন্ত আমরা কি তেমন ভাবি? কোভিডের এই অতিমারি দুর্যোগের একটিই রুপালি রেখা আমাদের গ্রহ দেখতে পাচ্ছে আর সেটা হলো অতিমারি মুছে দিচ্ছে পূর্ব ও পশ্চিম, দক্ষিণ ও উত্তর, ধনী ও গরিব, ক্ষমতাশালী ও ক্ষমতাহীনের মাঝের সব ভেদরেখা। যে ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী তথা সম্মুখ রণাঙ্গনের যোদ্ধারা এই কঠিন মড়কের বীজাণুর সাথে লড়াইয়ে বিপন্ন হচ্ছেন, তাদের মতই বিপন্ন বোধ করছেন খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারো সাথে করমর্দন করতেও ভয় পাচ্ছেন তিনি। এবং আজকের এই মানবিক বেদনাগাঁথায় একা ডাক্তাররাই বীর নন। এবং এদের সবার থেকে সাহসী হচ্ছেন সেই একাকী মা যার বাচ্চার পাবলিক স্কুল বন্ধ হয়েছে এবং যাকে কিনা বীজাণু সংক্রমিত সব সাব-ওয়ে ও রাস্তা পেরিয়ে তার প্রিয় সন্তানকে পাঠাতে হয় এক ব্যাগ লাঞ্চ সংগ্রহ করতে যাতে মড়কে মরার আগেই অনাহারে তাদের মৃত্যু না হয়।

অতিমারির এই সময়টা বেঁচে থাকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও যথেষ্ট নয়। এক সার্বজনীন পরিমিতি বোধ, সম্মিলিত যুক্তির শক্তি এবং জনকল্যাণমুখীতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক হামিদ দাবাশি কলম্বিয়ান ইউনিভার্সিটির ইরানিয়ান স্টাডিজ ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের হ্যাগোপ কেভোরকিয়ান অধ্যাপক। ১৯৮৪ সালে ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়া থেকে স্যোশিওলজি অফ কালচার অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে দ্বৈত পিএইডি ডিগ্রি এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ অর্জন করেন তিনি। ম্যাক্স ওয়েবারের ‘থিওরি অব ক্যারিশম্যাটিক অথরিটি’ বিষয়ে ফিলিপ রিফের (১৯২২-২০০৬) অধীনে তিনি তাঁর গবেষণা অভিসন্দর্ভ পেশ করেন।

উল্লেখ্য অধ্যাপক রিফ তাঁর সময়ের সেরা ফ্রয়েডিয় সংস্কৃতি সমালোচক। অধ্যাপক দাবাশি উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, আরব ও ইরানের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন ও বক্তৃতা দিয়েছেন। এ পর্যন্ত তিনি ২৫টি বই লিখেছেন, চারটি সম্পাদনা করেছেন এবং অন্য নানা বইয়ে বেশ কিছু অধ্যায়ের রচয়িতা। আজ অবধি ১০০টির বেশি নিবন্ধ, প্রবন্ধ এবং বই রিভিউ করেছেন তিনি আর সেসসবের বিষয় হলো ইরানিয়ান স্টাডিজ, মধ্যযুগ ও আধুনিক সময়ের ইসলাম, তুলনামূলক সাহিত্যতত্ত্ব থেকে বিশ্ব সিনেমা এবং শিল্পকলার দর্শন। তাঁর বই ও নিবন্ধমালা জাপানি, জার্মান, ফরাসি, স্প্যানিশ, ড্যানিশ, রুশ, হিব্রু, ইতালিয়, আরবি, কোরিয়, পার্সী, পর্তুগিজ, পোলিশ, তুর্কী, উর্দু ও ক্যাটালান ভাষায় অনূদিত হয়েছে। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়