ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ২১ অক্টোবর ২০২০  

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির ডেপুটি সেক্রেটারি স্টিফেন বিগান। তিনি বলেন, ‘এটি অনেকে জানেন না যে, কোভিড-১৯ এর প্রথম পর্যায়ে যখন যুক্তরাষ্ট্রের পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্টের (পিপিই) ঘাটতি ছিল, তখন এই পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগ নিয়েছিল। এ জন্য আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানানোর সুযোগ পেয়েছি।’

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) এক টেলিফোন ব্রিফিংয়ে সম্প্রতি নিজের ঢাকা ও দিল্লি সফর নিয়ে বিগেন এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি বলেন, ‘দ্রুত ওই পণ্য সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের বেসরকারি খাতের ধন্যবাদ প্রাপ্য।’

দুই দেশের বাণিজ্য সহযোগিতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সফরের সময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার জন্য আমি আলোচনা করেছি।’

অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে স্টিফেন বলেন, ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য এই রোডম্যাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি উদ্বাস্তু সমস্যা কোনোভাবেই বিবেচনার যোগ্য নয় বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা মানবিক সাহায্যের পাশাপাশি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবো।’

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য এই অঞ্চলের সব দেশের সঙ্গে কাজ করার দরকার জানিয়ে স্টিফেন বলেন, ‘আমরা আশা করি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের মতো উদারতা ও পরিষ্কার বার্তা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্য দেশগুলো মিয়ানমারকে দেবে।’

রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য চীনের সমালোচনা করে ডেপুটি সেক্রেটারি বলেন, ‘এই সমস্যা সমাধানে চীন অত্যন্ত অল্প কাজ করেছে; যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যে জায়গায় এই মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে সেখান থেকে চীনের দূরত্ব খুব বেশি না। বেইজিংয়ের কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা করা উচিত।’

বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘গত ৫০ বছর ধরে সামরিক শাসন ও ক্যু-য়ের মধ্যেও বাংলাদেশ সবসময়ে গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হয়েছে; যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এ বিষয়ে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে এবং উৎসাহ দেবে।’

স্টিফেন বিগান বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঢালাও মন্তব্য করার বিষয়ে আমি সতর্ক থাকতে চাই; বরং বৃহৎ পরিসরে বিষয়টিকে দেখতে চাই—আমরা বাংলাদেশের জন্য কী চাই এবং বাংলাদেশের জনগণ তাদের দেশের জন্য কী চায়।’

 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়