ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সরকারি কর্তা ও রাজনীতিকদের নিয়ে বিএনপির নতুন অপপ্রচার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫০, ৪ জুন ২০২৩  

সরকারি কর্তা ও রাজনীতিকদের নিয়ে বিএনপির নতুন অপপ্রচার

সরকারি কর্তা ও রাজনীতিকদের নিয়ে বিএনপির নতুন অপপ্রচার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক-ইউটিউবে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের অংশ হিসেবে নতুন করে ইস্যু বানানোর পাঁয়তারায় নেমেছে বিএনপি-জামায়াতের গুজব সেল। নামসর্বস্ব বিভিন্ন পেইজ ও চ্যানেল থেকে ফেইক আইডি খুলে তারা একের পর এক এমন মিথ্যা বানোয়াট তথ্য ছড়াচ্ছে।

যার সর্বশেষ সংযোজন- সরকারি পদস্থ এবং অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট গুজব। অনেকেই বিদেশ ভ্রমণ করছেন বা বিদেশে বিভিন্ন কার্য সম্পাদনে যাচ্ছেন আবার দেশে ফিরে আসছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব গুজবের সূত্রপাত বিএনপি নিয়ন্ত্রিত ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিডিয়া সেলে’র নারী কর্মীদের দ্বারা। নারীদের মাধ্যমে ফেসবুকে এসব ভিডিও ফেসবুক ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়ায় সহজেই তা ফাঁদের মতো কাজ করতে থাকে বিএনপির অশিক্ষিত ও গুজবে বিশ্বাসী নেতা-কর্মীদের মাঝে। একই চিত্র দেখা যায়, শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. হযরত আলীর মেয়ে ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকার আইডিতেও। পরবর্তীতে বুস্ট ও দলীয় নেতাকর্মীদের শেয়ার বাড়াতে হাইকমান্ড থেকেও নির্দেশনা দেয়া হয়।

এদিকে বিএনপির এই গুজবের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে জানা গেছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তা বিদেশে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করেনি। অবসরপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তা ভ্রমণের জন্য গেলেও সেটা নিয়ে কোনো বিধি নিষেধ নেই কিংবা সেটা আলোচনার বিষয়ও না। তবে অনেকেই বিদেশ ভ্রমণ করছেন নির্দিষ্ট কার্য করছেন আবার ফিরে আসছেন।

সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের নিয়ে কেন গুজব ও নোংরা অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেছে বেশ কিছু তথ্য। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ও স্যাংশনকে দলের অনুকূলে নিতেই এসব গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপির সাইবার সেলের বিপথগামী কর্মীরা। আর নির্দেশ দাতা হচ্ছেন দলটির হাইকমান্ড।

পরবর্তীতে এই ভিডিওগুলোকে প্রমাণ হিসেবে দেখিয়ে চিঠি পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে। এভাবে একের পর এক গুজবের মাধ্যমে সেগুলোকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেই এমন হীন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তারা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের কারণে বারবার তাদের অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়েছে। এ কারণে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ওই গুজববাজরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়েও গুজব ছড়াচ্ছে।

মূলত, সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে বিএনপি-জামায়াত জোট। আর সেটি বাস্তবায়ন করতে গুজবের বিকল্প দেখছেন না তাদের পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই গুজব অপপ্রচারের মাধ্যমেই জনগণকে আইওয়াশ করে বিভ্রান্ত করা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরিই তাদের মূল উদ্দেশ্য।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়