ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সরকারকে ধাক্কা মারতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই পড়ে গেছে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪৮, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

সরকারকে ধাক্কা মারতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই পড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তথ্য অধিদফতরের (পিআইডি) সম্মেলন কক্ষে ‘উন্নয়নের নবদিগন্ত’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ডিসেম্বরে বলেছিল সরকারকে বিদায় দেবে, ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে। ডিসেম্বরে সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে তারা নিজেরা পড়ে গেছে। এরপর থেকে তারা হাঁটা শুরু করেছে। বিএনপি অনুধাবন করতে পেরেছে, সরকারকে ধাক্কা মারলে লাভ হয় না। সরকারের ভিত ও আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রথিত।

তিনি বলেন, সরকারকে ধাক্কা মারতে গিয়ে তাদের কোমর ভেঙে গেছে। সেটা তাদের বর্তমান কর্মসূচির মাধ্যমেই পরিস্ফুটিত হয়েছে। আমরা সব সময় আশা করব, বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে থাকবে গণতন্ত্রের পথেই থাকবে।

বিএনপি সবসময় গণতান্ত্রিক পথে থাকবে প্রত্যাশা করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছে, ২০১৮ সালে নির্বাচনে ৬টি আসন পেয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও যে তাদের সম্ভাবনা নেই, সেটি তারা জানে। আর জানে বলেই নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং মানুষকে নির্বাচনবিমুখ করার জন্য নানা ধরনের কথা বলছে।

দেশের ৬টি আসনে উপনির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু সুন্দর হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপনির্বাচনে সবসময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে। যেখানে জাতীয় নির্বাচন এক বছরের কম সময়ের মধ্যে হবে, অল্প সময়ের জন্য যেহেতু তারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, এখানে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। সে তিনটি আসনে আমাদের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। ভোটার উপস্থিতি কিছু কম থাকলেও অত্যন্ত সুষ্ঠু সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

ড. হাছান বলেন, ‘বুধবারের উপনির্বাচন আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এমনকি ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটেও অত্যন্ত ভালো নির্বাচন হয়েছে। আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার উপস্থিতির কথা ভাবেন, সেখানে ৪০ শতাংশ মানুষ ভোটার হন না। আবার যারা ভোটার হন, সেখান থেকে অর্ধেক উপস্থিত হন। সার্বিক বিচারে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে সেখানে। সে হিসেবে আমাদের উপনির্বাচন যেটি এক বছরের কম সময়ের জন্য এমপি নির্বাচিত হবেন, অনেক ভালো হয়েছে।’গত ডিসেম্বরে বিএনপির আন্দোলনের তোড়জোড় দেখা গেলেও এখন না থাকার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাদের ষড়যন্ত্র সবসময় ছিল, এখনও আছে। তারা জানে যে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ২৯ আসন পেয়েছিল, এরপর উপনির্বাচনে বেড়ে ৩০টি অতিক্রম করেছে।

মাগুরার নির্বাচনকেও হার মানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচন–বিএনপির মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না। যেহেতু আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই, আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা যে কাউকে পছন্দ করতে পারে। সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের দলের কোনো নির্দেশনা কারো নামার জন্য ছিল না। যে যার পছন্দমতো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে।’

এ সময় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মনিটরিং মুন্সি জালাল উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়