ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন

অর্থনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ২৮ জানুয়ারি ২০২১  

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

এদিন লেনদেনের শুরুতেই মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার আভাস পাওয়া যায়। প্রি-ওপেনিং সুবিধা চালু থাকায় লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়িয়ে ক্রয়-বিক্রয়ের আদেশ জমা পড়ে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টা সূচকের এই বড় উত্থান প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে প্রথম ৩০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৭২ পয়েন্ট। কিন্তু এরপরই ঘটে ছন্দপতন। একের পর এক প্রতিষ্ঠান পতনের খাতায় নাম লেখাতে থাকে। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। এমনকি এক পর্যন্ত সূচক ঋণাত্মকও হয়ে পড়ে।

অবশ্য শেষ ৩০ মিনিটের লেনদেনে কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। এতে আবার ঘুরে দাঁড়ায় সূচক। যার ওপর ভর করে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্য সূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমছে প্রায় তার সমান সংখ্যকের। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩১টির। আর ৯৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মূল্য সূচকের উত্থানের দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৪১ কোটি ৮ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ৯০৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৬১ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, সামিট পাওয়ার, আইএফআইসি ব্যাংক ও রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৭টির এবং ৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়