ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম আরো কমেছে

বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:০০, ২৬ আগস্ট ২০২২  

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম আরো কমেছে

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম আরো কমেছে

রাজধানীর বাজারগুলোতে ডিমের দাম গত সপ্তাহেই কমতে শুরু করে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম আরো কমেছে। তবে সবজি কিনে স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। একই সঙ্গে মুরগি এবং মাছের দামেও অস্বস্তি দেখা গেছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ডিমের ডজন ১৩০ টাকা বিক্রি করলেও এ সপ্তাহে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিমের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে ডিমের বিক্রি ব্যাপক কমে যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দাম কমতে শুরু করেছে। সামনে আরো কমতে পারে।

এদিকে গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও এ সপ্তাহে অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়ালর মুরগি কেজি বিক্রি করছেন ১৮০ টাকা কেজি। দুই সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকায় উঠেছিল।

ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।

মুরগির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. হাছান বলেন, দাম বাড়ার কারণে দুই-তিন সপ্তাহ ধরে মুরগির বিক্রি কম হচ্ছে। তবে বাজারে মুরগির সরবরাহও কম রয়েছে। যে কারণে দাম কমছে না। আমাদের ধারণা কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে মুরগির সরবরাহ বাড়বে, তখন দাম কমতে পারে।

এদিকে বাজারে নতুন সবজি হিসেবে শিম ও ফুলকপি আসলেও তা ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে না। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এই দুই সবজি। পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দামও বেশ চড়া। ফলে সবজি কিনতে এসে অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।

সপ্তাহের ব্যবধানে শিমের দাম কিছুটা কমেছে। এক কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। তবে কেউ এক কেজি নিলে ১৫০ টাকা রাখা হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে শিমের পোয়া ৫০ টাকা এবং কেজি ১৯০ টাকা ছিল। আর নতুন আসা ছোট ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।

আর অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর এবং বরবটির দাম। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

দামি এ সবজিগুলোর পাশাপাশি দাম অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য সবজির। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি, ঝিঙা, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

সবজির দাম নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করে উত্তরা আজমপুর বাজারের সবজি ক্রেতা রাসেল আরাফাত বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম মোটামুটি বাড়তি। তাই কম কম কিনতে হচ্ছে। 

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী লতিফ মিয়া বলেন, বাজারে নতুন সবজি আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে শিম, ফুলকপি চলে এসেছে। এখন দিন যত যাবে এসব সবজির সরবরাহ বাড়বে। তাই সামনে সবজির দাম কমতে পারে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও আলুর। পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। তবে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পোয়া বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এখন ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।

দাম অপরিবর্তিত থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিংড়ি ও ইলিশ। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়