ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

শেষ মুহূর্তে বৈদ্যুতিক সিস্টেমের কাজ চলছে বঙ্গবন্ধু টানেলে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৭, ২৩ নভেম্বর ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা। শেষ মুহূর্তে চলছে বৈদ্যুতিক সিস্টেমের কাজ।

চট্টগ্রামে পতেঙ্গা প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পরিদর্শন করেন টানেল। গাড়ি বহর নিয়ে ঘুরে দেখেন নানা স্থাপনা।

তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু টানেলে কক্সবাজারের সঙ্গে চট্টগ্রামের ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের পাশাপাশি বন্দরসহ দুই কূলের শিল্প কারখানা আর অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাবে। বাড়বে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ।

গত ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ জানান, প্রায় শেষের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ। বর্তমানে টানেলের ভেতরে সিভিল কাজ শেষ পর্যায়ে। সেই সঙ্গে গাড়ি চলাচলের জন্য সড়কের কাজও সম্পন্ন হয়েছে।

হারুনুর রশিদ জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ৯৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে নভেম্বরেই শেষ হবে টানেলের সিভিল অংশের কাজ। এখন চলছে টানেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ইলেক্ট্রোমেকানিক্যালের কাজ। চলমান কাজ শেষ করতে জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে।

প্রকল্প পরিচালক জানান, জানুয়ারির মধ্যেই সব কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত টানেল ব্যবহার উপযোগী না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্বোধনের তারিখ নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। সরকার যেটা ভালো মনে করবে, সুবিধাজনক সময়ে উদ্বোধন করা হবে।

চীনের সাংহাইয়ের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন' মডেলের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল যুক্ত করেছে দুই সিটি দক্ষিণ চট্টগ্রাম আর বন্দর নগরীকে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক তিন দুই কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক চার পাঁচ কিলোমিটার। বর্তমানে কর্ণফুলী টানেলের সংশোধিত নির্মাণ ব্যয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। নতুন করে ৭০০ কোটি টাকা বেড়ে টানেলের ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রকল্পের প্রথম ডিপিপি প্রণয়নকালে খরচ ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়