ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ বৃক্ষরোপণ করেছে শেরপুর কৃষি বিভাগ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ২২ অক্টোবর ২০২০  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষে’ লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ ১ লাখ ১১ হাজার বৃক্ষরোপণ করেছে শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ২১ অক্টোবর বুধবারও ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়ি জনপদ গুরুচরণ-দুধনই এলাকায় লেবু জাতীয় একটি ফলদ বাগানের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব দুপুরে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম নামে এক কৃষি উদ্যোক্তার প্রায় ১৬ একরের মতো পতিত জমিতে বারি-২ মাল্টা এবং দার্জিলিং জাতের কমলার চারা রোপণ করে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে ওই ফলদ বাগান চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। ওইসময় তিনি বলেন, করোনা’র এই সময়ে লেবু জাতীয় ফসল শরীরের রোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, সুস্থ্য-সবল জীবনযাপন করতে কতো কার্যকরি তা আমরা উপলব্ধি করেছি। এজন্য বাড়ির আঙিনায় প্রয়োজনীয় শাকসব্জীর আবাদ, লেবুজাতীয় ফলদ গাছ রোপন করে আমরা সহজেই আমাদের পারিবারিক চাহিদা মেটাতে পারি। ওইসময় তিনি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, মাদক নির্মূল ও বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরে সবাইকে ওইসব বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর, কাংশা ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় অর্ধশতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, গুরুচরণ-দুধনই এলাকায় ১৬ একর পতিত জমিতে কৃষি উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম লেবু জাতীয় ফলদ বাগান করেছেন। আমরা কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে তাকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। ঝিনাইগাতীর পাহাড়ি অঞ্চলের বারি মাটি মাল্টা, দার্জিরিং জাতের কমলা, সিডলেস লেবু সহ লেবুজাতীয় ফলদ বাগানের জন্য খুবই উপযোগী। এখানকার মাল্টার বাইরের রং সবুজ কিন্তু ভেথরের রং হলদে। খেতেও বেশ সুস্বাদু। তাই মুজিববর্ষে লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের সহায়তায় এ ফলদ বাগানে ৪০০টি মাল্টা চারা, লেবু ১হাজার ৫০০টি, কমলা (দার্জিলিং) ১২০টি চারা রোপণ করা হয়েছে।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মুহিত কুমার দে জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধকরনের মাধ্যমে জেলায় বছরব্যাপী ৫৫ হাজার বৃক্ষরোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ ১ লাখ ১১ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ফলদ, বনজ এবং ঔষধি বৃক্ষের চারা। তিনি বলেন, কেবল বৃক্ষরোপণই নয়, রোপিত গাছগুলো যাতে বেঁচে থাকে, নিয়মিত পরিচর্যা করা হয়, সেজন্য বাড়ির আশপাশের পতিত জমি, ফলদ ও বনজ বাগান করার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। কেবল বৃক্ষরোপণই নয়, অন্যান্য ফসলের আবাদ বৃদ্ধি করতে কাজ করা হচ্ছে। এমনকি মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শেরপুরেও যাতে এক ইঞ্চি জমিও পতিত না থাকে, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়