ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে আমনের সোনালী ধানে ভালো সম্ভাবনা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ২৫ অক্টোবর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সবুজে ঘেরা মাঠ। ঢেউয়ের মতো খেলছে আমন ধানের চারা। আর এ সবুজের ঢেউয়ে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। কিছুদিন পরই ধানগাছে ধারণ করবে হলুদ বর্ণ।

এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে ফসলের মাঠ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমনে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন চাষিরা।

লক্ষ্মীপুরে গত মৌসুমে আমন ধানে ভালো দাম পাওয়ায় এবারো মাঠে স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা। মাঠেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৮২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় তিন লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের তুলনায় কম হলেও এবার আরো বেশি আশাবাদী চাষিরা। এমনটিই জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

জানা গেছে, গত মৌসুমে জেলায় আমন ধানের আবাদ হয়েছে ৮১ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে তিন লাখ ৫১ হাজার ৮২৮ মেট্রিক টন। লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ করছেন কৃষকরা।

জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ধানের চারা লাগানো জমিতে সার ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। এসব চারা বর্ষার শুরু থেকেই রোপণ করছেন তারা। সবুজ পাতা গজিয়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে ধানগাছ। ভালো ফলনের আশায় অনেকেই ইউরিয়া সার ছেটাচ্ছেন। পোকামাকড় দমনে অনেকে আবার কীটনাশক স্প্রে করছেন।

কৃষকরা জানান, গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে অনেক বেশি আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন তারা। তবে চররমনী মোহন এলাকায় আমনের জমি মেঘনার পাশে হওয়ায় কৃষকদের মনে বেশ ভয় কাজ করছে। মেঘনায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানির তোড়ে ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া নোনা পানি জমে থাকার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে নদীর তীরবর্তী কয়েক একর জমির রোপা আমন ।

লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী মো. আবুল হোসেন বলেন, জেলায় আমনের চাষি রয়েছেন দুই লাখ ৬৩ হাজার ৬শ’ জন। এর মধ্যে দুই হাজার ৮শ’ চাষিকে কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় আড়াই হাজার চাষিকে পাঁচ কেজি করে উফশী ধানের বীজ, ১০ কেজি করে ড্যাপ সার ও ১০ কেজি করে এমপিও সার দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সঠিক পদ্ধতিতে আমান চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শ নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করলে ফলন ভালো হয়। তবে পোকা দমনে বাড়তি কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক নিয়মে পোকা দমনের জন্যও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়