ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

রংপুরে শুরু হলো বিশেষ ওএমএসের চাল বিক্রি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২০, ২৬ জুলাই ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাকালীন সংকট মোকাবিলায় রংপুরে খোলাবাজারে বিশেষ ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ ভোক্তা ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি করে চাল ও ১৮ টাকা দরে আটা কিনতে পারবে। মূলত অসহায়, দুস্থ, নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বিশেষ এই কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার।

নগরীর রবার্টসনগঞ্জ স্কুল মাঠে বিশেষ ওএমএসের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা। রংপুর জেলা খাদ্য বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

উদ্বোধনকালে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বিভিন্নভাবে অসহায় মানুষকে সাহায্য করে আসছে। বর্তমান সংকট মোকাবিলায় খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রির জন্য ওএমএস কার্যক্রম শুরু করেছে, যাতে খেটে খাওয়া মানুষ অল্প দামে এই চাল-আটা কিনতে পারেন। আগামীতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সরকারের এই বিশেষ কার্যক্রমে কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ বরদাশত করা হবে না জানিয়ে কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা বলেন, ডিলারের বিরুদ্ধে যদি এই চাল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা চাই স্বচ্ছতার সঙ্গে এই কার্যক্রম চলুক। বিভাগের প্রতিটি জেলা ও পৌরসভা এলাকায় ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি করা হবে। এ জন্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালাম, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা প্রমুখ।

রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদের জানান, রংপুর সিটি কর্পোরেশন ছাড়াও হারাগাছ, বদরগঞ্জ ও পীরগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হবে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতিদিন তিনটি ট্রাকে ৭ হাজার ৫০০ কেজি চাল ও ১ হাজার ৫০০ কেজি আটা বিক্রি করা হবে। আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়