ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৪ ১৪৩০

যৌবনকালে পরীমনির মতোই উশৃঙ্খল ছিলেন খালেদা জিয়া

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩১, ১৮ জুন ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ের আলোচিত নাম চিত্রনায়িকা পরীমনি। আলোচিত কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় না করেও, শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দিয়ে পুরুষদের মাঝে উষ্ণতা ছড়ান পরীমনি। অজোপাড়া গ্রামে গরীব ঘরে জন্মানো পরীমনি মাত্র আড়াই বছর বয়সে মাকে হারান। এরপর নানা বাড়িতে বড় হন। ২০১১ সালে ঢাকায় এসে ২০১৬ সালে প্রথম ছবি করে পারিশ্রমিক পান ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতিটি ছবির জন্য তিনি পারিশ্রমিক নেন ১ লাখ টাকা। তার সর্বমোট প্রকাশিত ছবির সংখ্যা ১০টি। কিন্তু তিনি ৪ কোটি টাকা দামের গাড়িতে ঘোরেন। তার আছে কোটি টাকা দামের আরো চারটি গাড়ি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার সঙ্গে বিছানা ভাগাভাগি করা ১০ বেড পার্টনারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে, পরীমনি আজ কোটিপতি হয়েছেন। পরীমনির বর্তমান অবস্থার সঙ্গে বিএনপির অনেক নেতাই খালেদা জিয়ার মিল খুঁজে পাচ্ছেন বলে জানা যায়। কারণ যৌবনকালে খালেদা জিয়ারও অসংখ্য বেড পার্টনার ছিলো।

১৯৭১ সাল। পাকিস্তানিরা তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়ার সুন্দরি স্ত্রীকে জোর করে পাকিস্তানি ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গেলো। সে সময় পাকিস্তানিরা ২ লক্ষ মা বোনকে ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা ধর্ষণ নির্যাতন করলেও একমাত্র খালেদা জিয়া আরাম আয়েশে ক্যান্টনমেন্টে থাকতে লাগলেন। মূলত পাকিস্তানি মেজরদের সাথে তার মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠলো। মেজর হাফিজের বইতে উল্লেখ আছে, মেজর জিয়া সেই সময়ে ৪ বার খালেদা জিয়াকে আনতে পাঠালেও খালেদা জিয়া আসেননি। যাই হোক পাকিস্তানিরা যুদ্ধে হারল। খালেদা জিয়াও ফিরে আসলেন জিয়ার কাছে। যদিও জিয়া তাকে গ্রহণ করতে চাননি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নামক এক বিশাল হৃদয়ের মানুষের কথায় জিয়া খালেদা জিয়াকে গ্রহণ করেন। এর ১০ বছর পর জিয়াউর রহমানকে সেনা অভভুথানে হত্যা করা হয়। এবার আসি ২০০০ সালে। পরের বছর নির্বাচন। ততদিনে সাঈদি, নিজামি, মুজাহিদের মত একাত্তরের রাজাকাররা দেশের ভিতর গেড়ে বসেছে। হটাত করে একদিন খালেদা জিয়ার পুরোনো পাকিস্তান ক্যাম্পের প্রেম জাগ্রত হল। হাত মেলালেন তার ৭১ এর কিডন্যাপার পাকিস্তানিদের দোসর জামাতে ইসলামির রাজাকারদের সাথে। তাদের মধ্যে প্রেম এতটাই গভীর হল যে, দুই জন মিলে সিদ্ধান্ত নিলো মাকে হত্যা করে সমস্ত ধন সম্পদ আত্মসাৎ করা হবে। মা কে ভাবছেন ? মা মানে দেশ। হলও তাই। ৫ বার দুর্নীতিতে শ্রেষ্ঠ হওয়ার মেডেল পেল মা। তাকে চুষে চুষে খেয়ে ফেলল খালেদা-জামায়াত দম্পতি। এই দিকে চলতে থাকল আইভি রহমান, শাহ এম এস কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টারের মত স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনের হত্যা।

বিষয়গুলো প্রমাণ করে, অবৈধ সম্পর্ক কখনো ভালো পরিণতি ডেকে আনে না। বর্তমানে খালেদা জিয়া তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছেন দুর্নীতির শাস্তি ভোগ করে। তাই সময় থাকতে খালেদা জিয়ার মতো অবৈধ সম্পর্কে না জড়িয়ে সুস্থ জীবন ধারায় ফিরতে পরীমনিকে আহ্বান করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়