ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

যে সময়ের পর কোরবানি বৈধ নয়

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩০, ২ আগস্ট ২০২০  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকেন আরবি হিজরি সনের ১০ জিলহজ তারিখে। আর এটিই ঈদুল আজহার নির্ধারিত সময়। এ ঈদে নামাজের পর তারা কোরবানি করে থাকেন।

কিন্তু কোরবানিও কি ১০ জিলহজে সম্পন্ন করতে হবে? নাকি কোরবানির জন্য আরো সময় পাওয়া যাবে। এবং কোরবানির বৈধ সময় কত ক্ষণ? এ ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা হলো-

হ্যাঁ, শুধু ঈদুল আজহার দিনই নয়, বরং ১০ জিলহজ নামাজর পর শুরু হয় কোরবানি করার সময়। এ দিন ছাড়াও আরো দুই দিন কোরবানি করা যাবে। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদের নামাজ পড়ার পর থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত কোরবানি করা যাবে। তবে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পর কোরবানি বৈধ নয়।’ (আলমগীরি)।

যদি কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, ১০ ও ১১ জিলহজ সফরে থাকে। তারপর ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে বাড়ি ফিরে আসে, তবে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব হবে।’ (আলমগীরি)

তবে কোরবানির সময় প্রসঙ্গে বিখ্যাত গ্রন্থ কুদুরিতে এসেছে, ‘ঈদুল আজহার দিন নামাজের আগে কোরবানি করা বৈধ নয়। কিন্তু যে স্থানে ঈদের নামাজ বা জুমার নামাজ বৈধ নয় বা ব্যবস্থা নেই, সে স্থানে ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পরও কোরবানি করা বৈধ হবে।’ (কুদুরি)।

ইসলামি শরীয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির সময় তিন দিন। যারা কোনো কারণে কোরবানি করতে পারেননি, তাদের জন্য ঈদের পরের দুই দিন তথা ১১ ও ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে কোরবানি করার সুযোগ রয়েছে।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশু জবেহ করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়