ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ময়মনসিংহে শব্দদূষন নিয়ন্ত্রণে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ১৩ নভেম্বর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়ণাধীন শব্দদুষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমুলক প্রকল্পের আওতায় শব্দদূষন নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সেক্টেরের মানুষকে সচেতন করার লক্ষে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের আয়োজনে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ফরিদ আহমদের সভাপতিত্বে কর্মসুচিতে প্রধান অতিথি ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাল্গুনী নন্দি। কর্মসুচিতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধান, কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসনে কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের যানবাহন চালকগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস বলেন, মানুষ পরিবেশের ১০ ভাগ ক্ষতি করছে। আর পরিবেশ মানুষের প্রতি খারাপ আচরণ করছে ৫০ থেকে শতভাগ। পরিবেশের বিরূপ আচরণরোধে শিক্ষিত সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। শব্দ দুষণ কানের পর্দাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কান তার সক্ষমতা হারায়। অনেক সময় কানের এই ক্ষত থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হয়। আমরা সিংহভাগ মানুষ কানের পরীক্ষা করিনা। পরীক্ষা করলে দেখা যাবে অনেকেরই কানে বড় ধরণের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও শব্দ দুষণের কারণে মানুষের ঘুম হয়না, প্রেশার ও হার্টের সমস্যা বেড়ে যায়। তিনি আরো বলেন, অযাচিত এবং প্রয়োজন ছাড়া হর্ণ বাজানো কমিয়ে আনতে হবে। এছাড়া হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানো বন্দ করতে প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি। তিনি আরো বলেন, শব্দ দুষণের কারণে মানষিক স্বাস্ব্য মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখাতে অর্থনৈতিক লোকসান এবং মানুষ মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উন্নত দেশ গড়তে হলে মানষিক স্বাস্ব্য সুরক্ষায় এগিয়ে যেতে হবে।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক বলেন. নির্মাণ কাজ, কলকারখানা, যানবাহনে মাত্রারিক্ত প্রয়োজনের বাইরে হর্ণ বাজানো ও যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানোর কারণে ৫ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবর্তী মায়েরা মারাত্বক ক্ষতির সমুক্ষিণ হচ্ছে। এখনই মানুষকে সচেতন করতে না পারলে এবং হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানো নিষিদ্ধকরণ ও ব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় না আনলে শব্দ দুষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করত পারে। এ জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। ফরিদ আহমদ আরো বলেন, ইতিমধ্যেই পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ ৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৮টি মামলা মোকদ্দমা ও জেল জরিমাণা করেছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়