ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মুন্সিগঞ্জে আবিষ্কৃত হলো গৌতম বুদ্ধের ‘স্মারক কুঠুরি’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১২, ৪ মার্চ ২০২১  

অনলাইন ছবি

অনলাইন ছবি

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার নাটেশ্বর দেউলে প্রত্নতত্ত্ব খননের মধ্য দিয়ে আবিষ্কৃত হলো দেশের প্রথম ‘স্মারক কুঠুরি’, সুরক্ষা প্রাচীরের অংশ ও নকশাকৃত ইট। এ স্মারক কুঠুরিতে গৌতম বুদ্ধ বা তার শিষ্যদের দেহ ভস্ম ও ব্যবহৃত জিনিস রাখা হতো।

অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পাঁচ মাসে দ্বিতীয় পর্যায়ের খননে এ নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। স্মারক কুঠুরির গোলাকার অংশ বৌদ্ধ ধর্মের দর্শনের সৃষ্টিতত্ত্ব ‘শুন্যবাদ’-এর প্রতিকী রূপ।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার নাটেশ্বর দেউলে বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা- শীর্ষক কর্মসূচি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।

তিনি বলেন, নাটেশ্বরে দ্বিতীয় পর্যায়ে সমস্ত স্থাপত্যে বৌদ্ধ ধর্ম ও দর্শন প্রতিকী রূপে প্রতিফলিত হয়েছে। আবিষ্কৃত স্মারক কুঠুরির উপরের অংশ গোলাকার, এর নিচের অংশ চার কোণা আকৃতির। এ কুঠুরির গোলাকার অংশ বৌদ্ধ ধর্মের দর্শনের সৃষ্টিতত্ত্ব ‘শুন্যবাদ’-এর প্রতিকী রূপ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মারক কুঠুরির চারটি কোণ হলো ‘চার আর্যসত্য’। আর্যসত্যগুলো হলো- জীবনে দুঃখ আছে, দুঃখের কারন আছে, দুঃখের বিনাশ আছে, দুঃখ বিনাশের উপায় আছে। মূল স্তূপের আটটি কোণ হলো অষ্টমার্গের প্রতীকী রূপ। অষ্টমার্গ বলতে বোঝায়- সত্য জ্ঞান অর্জন বা  দুঃখ বিষয়ে যথার্থ জ্ঞান, সৎ সংকল্প, সৎ বাক্য, সৎ কর্ম, সৎ জীবিকা, সৎ চিন্তা, সঠিক চৈতন্য বা চিত্তের প্রশান্তি, সৎ ধ্যান বা সঠিক ধ্যান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূহ-উল-আলম লেনিন, বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন ২০১০ সালে এ অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন, গবেষণা ও অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় ওই বছরের ফেরুয়ারি মাসে শুরু হয় খনন। ওই বছর জেলা সদরের রামপালের রঘুরামপুরে বৌদ্ধ বিহার আবিষ্কৃত হয়। টঙ্গীবাড়ি উপজেলার নাটেশ্বরে প্রায় ১১শ’ বছর আগের একটি বৌদ্ধ মন্দির, অষ্টকোণাকৃতির ইটের নালাসহ অসংখ্য নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। এছাড়া বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে ৯টি পরীক্ষামূলক উৎ-খনন পরিচালিত হয়। প্রতিটি স্থানে প্রাচীন বসতির চিহ্ন পাওয়া যায়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়