মামুনুল হকের চরিত্র ও রাজনীতি, দুটোতেই ফুটে উঠেছে নোংরামির চিত্র
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও রাজনৈতিক কুট-কৌশল নিয়ে একের একের পর এক নোংরামির চিত্র জনসম্মুখে উন্মোচিত হচ্ছে। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একাধিক নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রমাণ মেলে। এছাড়া হেফাজতে ইসলামের বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে দলটির প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগও রয়েছে মামুনুলের বিরুদ্ধে।
এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে হেফাজতে ইসলাম। কেননা এই মামুনুল হক হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেল করায় তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
বর্তমান কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহাসচিব নূর হোসেন কাশেমীকে বশে এনে অনেক সিনিয়র নেতাদের ডিঙ্গিয়ে হেফাজতের যুগ্ম-মহাসচিবের পদে বসেছেন মামুনুল। গুরুতর এ অভিযোগটাও তার দলের ভেতরকার।
২০১৩ সালের ৫ই মে হেফাজতের তাণ্ডবকে ঘিরে মাওলানা মামুনুল হক জনসম্মুখে আসেন। এরপর সুপ্রিম কোর্টের সামনের থেমিসের ভাস্কর্যকে সরিয়ে নেয়ার ইস্যুতেও সরব ছিলেন মামুনুল।
একক ভাবে মামুনুল আলোচনায় আসেন আল্লামা শফীর মৃত্যুকে ঘিরে। কর্মীদের দিয়ে আল্লামা শফীর চিকিৎসায় বাধা দেয়া, এমনকি তার দাফনের সময় হেফাজতের প্ল্যাটফর্মে শিবিরের অনুপ্রবেশ ঘটায় মামুনুল হক।
এরপর ২০২০ এর অক্টোবর থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যু, ধর্মপ্রাণ বাঙালীর মনে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াতে একের পর এক উস্কানি ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে গেছেন মামুনুল।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এই হেফাজত নেতার প্ররোচনায় মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্রদের মাঠে নামিয়ে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ও হাট-হাজারিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে। হামলা হয়েছে সংখ্যালঘুদের বাড়িতেও।
স্বাধীন দেশের পুলিশ স্টেশন, ভূমি অফিস ও রেলস্টেশনের মত রাষ্ট্রীয় সম্পদে দেয়া হয়েছে আগুন। পুলিশী হেফাজত থেকে ছিনিয়ে আনার মত রাষ্ট্রদ্রোহি কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয় তাকে ঘিরে।
২৫ মার্চ বায়তুল মোকাররমের সামনে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আয়োজনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঠে নামিয়ে রাজধানী ঢাকাতে ভয়ংকর তাণ্ডব চালিয়েছিলো।
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণা নামে এক নারীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হন মামুনুল হক। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে জান্নাত আরাকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন। নথিপত্র বিহীন দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই তৃতীয় বিয়ের দাবি করেছেন মামুনুল হক।
- হলুদ সাংবাদিক কনক সারোয়ার গুজবের জন্মদাতা
- হ্যাঁ-না ভোট ও জিয়ার জোরপূর্বক রাষ্ট্রপতি হওয়া
- খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুরের পেছনে ফখরুলের ষড়যন্ত্র
- ‘পাক সেনা ক্যাম্পের নারী সাপ্লায়ার’ ছিলেন সাঈদী
- রাজধানীতে অস্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেফতার
- বাবুনগরী-মামুনুল এর ষড়যন্ত্র ফাঁস : ক্ষমতার লোভে আল্লামা শফি খুন
- অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে তৎপরতা চালাচ্ছে তারেক
- তারেকই বিএনপির প্রধান, নিরুপায় হয়ে পড়েছেন খালেদা
- অবশেষে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে সরে আসলো বিএনপি
- বিএনপি নামক দলের সমর্থন করার কোনো মানেই হয় না: ডা. জাফরুল্লাহ