ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে অস্তিত্বহীন ঐক্যফ্রন্ট

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ৮ মে ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় মাস আগে ঘটা করে যাত্রা করা ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকে কোনোভাবেই উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং মোকাব্বির খান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ, সঙ্গে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুব্রত চৌধুরী নাম না এসে রেজা কিবরিয়ার নাম আসার মধ্য দিয়ে গণফোরাম তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে শরিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব এবং প্রকাশ্য বিরোধ শুরু হয়। দুই সংসদ সদস্যর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু দল থেকে পদত্যাগ করে বর্তমানে রাজনীতি থেকে যোজন-যোজন দূরে রয়েছেন।

নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিয়ে নির্বাচনী ফ্রন্ট গঠন করেন। সে মোতাবেক বিএনপিসহ অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেয়। যদিও এ প্রক্রিয়ার বাইরে ছিলো ২০ দলীয় ঐক্যজোটভুক্ত জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।

তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপির যোগদান নিয়ে খোদ ২০ দলীয় ঐক্যজোটেই চরম মতবিরোধ ছিলো। বিশেষকরে জামায়াতে ইসলামী এবং কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এ প্রক্রিয়ার সরাসরি বিরোধিতা করেন। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশেষ নির্দেশনায় সে সময় বিএনপির ডাকসাইটে অনেক নেতাই নিশ্চুপ ছিলো। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অভ্যন্তরে জলঘোলা হতে শুরু করে।

নির্বাচনে আশানুরূপ ফলাফল না পাওয়ায় শরিক দলগুলো ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। বিএনপির তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সবাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চরম বিরোধিতা করেন। তবে নামকাওয়াস্তে এখনো বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থাকলেও কোনো কর্মসূচিতে সেভাবে তাদের সাড়া নেই। এছাড়া বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন, দেড় বছর আগে।

বিএনপির নিষ্ক্রিয়তা, কাদের সিদ্দিকীর ফ্রন্ট ছেড়ে যাওয়া- সবকিছু মিলিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অভ্যন্তরে এখন লেজেগোবরে অবস্থা। বড় ধরণের কর্মসূচি নেবার ক্ষেত্রে এখন তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, রাজধানীতে বড় একটি সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে এগুতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আর এ ক্ষেত্রে কাণ্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন, জেএসডির আসম আব্দুর রব এবং নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণফোরামের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, বিএনপিকে ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় করার জন্য ড. কামাল হোসেন বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। মান-অভিমানের বিষয়গুলো কাঁটিয়ে আমরা সহসাই সাংগঠনিক কর্মসূচিগুলো যৌথভাবে পালন করবো।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়