ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মন্দিরে কুরআন অবমাননা, ঘটনার নেপথ্যে তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ১৪ অক্টোবর ২০২১  

তারেক রহমান

তারেক রহমান

১১ অক্টোবর হঠাৎ করেই তৎপর হন তারেক রহমান। সেদিন দুপুর থেকেই তিনি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্কাইপে কথা বলছেন। তিনি বলছেন, ‘কিছু একটা ঘটছে, সচেতন থাকেন।’ কর্মীদের তিনি ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি নির্দেশ দিলেই বেরিয়ে পড়বেন।’

হঠাৎ করে তারেক রহমানের এমন নির্দেশনার দুই দিন পর কুমিল্লা শহরের একটি মন্দিরে কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটে। এরপর কুমিল্লায় ও চাঁদপুরে সংঘর্ষ বেধে যায়। যদিও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কুমিল্লার পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, কুমিল্লার ঘটনাটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। প্রথম দিকে ঘটনার গুরুত্ব থাকলেও রাত পেরুতেই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে এটি কোনো বড় বিষয় নয়। এর চেয়ে বড় ঘটনা ঘটাতে হবে।

সিনিয়র নেতারা বলেছেন, তারেক রহমান অপরিপক্ব রাজনীতির শিকার বিএনপি বারবার হয়েছে। এর আগেও তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা রকম গুজব ছড়িয়েছেন। কিছু একটা ঘটবে বলে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু কিছুই হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, তারেক রহমানর দীর্ঘ ১২ বছর ধরে দেশে নেই। কাজেই দেশের রাজনীতির ধারা যে পরিবর্তন হয়েছে, ছোট একটা ঘটনায় যে ওলটপালট কিছু ঘটে না সে সম্পর্কে তার কোন ধারনা নেই। বাংলাদেশ কীভাবে চলছে সে সম্পর্কেও তার কোন বাস্তব জ্ঞান নেই। যার ফলে একটা ছোট ঘটনাতেই তিনি মনে করছেন বাংলাদেশে কিছু একটা ঘটবে। এর আগেও হেফাজতের ঘটনার সময় এবং আরও দুএকটা ঘটনার সময় তারেক রহমান বলেছিলেন, সরকারের পতন ঘটবে, খুব শিগগিরই কিছু একটা ঘটবে। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু ঘটেনি।

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের অসন্তোষ থাকলেও এরকম একটা-দুইটা ছোট-খাট ঘটনায় এমন কিছুই হবে না, যাতে সরকারের পতন হয় বা সরকার বিপদাপন্ন হয়ে পড়ে। তারেক রহমানের এই ডাক নেতাকর্মীদের আরেক দফা হতাশার মধ্যেই ঠেলে দেবে বলেও তারা মনে করছেন।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়