ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ভ্রমণে খরচ কমানোর ১৩ উপায়

ভ্রমণ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ২৩ আগস্ট ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ লাকডাউন শেষে অনেকেই এখন দেশের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। যেহেতু এখন দেশের সব পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে; তাই দর্শনার্থীদের চাপও বেশি পড়বে।

তাই এ সময় ভ্রমণে খরচ বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। যদিও বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের আশেপাশের হোটেলগুলো এখন বেশ ছাড় দিচ্ছে। যেকোনো ভ্রমণেই খরচের বিষয়টি কখনও বাজেটের মধ্যে থাকে না। এর বাইরেও অনেকটা খরচ হয়ে যায়।

তাই কম খরচে যারা ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন; তাদের অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কিছু ছোট ছোট বিষয় মাথায় রাখলে খুব সহজেই দেশের ভিতরে বা বাইরে বেড়ানোর খরচ ৩০-৪০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভ্রমণে খরচ কমানোর কৌশল-

>> ভ্রমণে চেষ্টা করুন দল বেঁধে যেতে। এতে খরচ অনেকটাই কমে আসবে। বিশেষ করে পর্যটনকেন্দ্রে গিয়ে অনেক সময় সিএনজি, গাড়ি বা নৌকা ভাড়া করতে হয়। দল বেঁধে গেলে শেয়ারিংয়ে খরচ অনেকটা কমে আসে।

>> এখন যেহেতু অনেককেই ঘুরতে যাবে, তাই হোটেলগুলোতে ভাড়া বেশি পড়তে পারে। তবে আগে থেকেই হোটেলে রুম বুকিং না দিয়ে বরং সেখানে গিয়ে দামদর করে নিলে কমের মধ্যে থাকতে পারেন। অন্যান্য সময় অফ পিক সিজনে ঘুরতে গেলে খরচ কমে যাবে।

>> অনেক ট্রাভেল অ্যাজেন্সি যারা ঝামেলা কমানোর অফার দিয়ে আপনার বাস, ট্রেন, প্লেনের টিকিট কেটে দেওয়া থেকে শুরু করে হোটেল বুকিং, খাবার, অভ্যন্তরীণ যাতায়াত সবকিছুর ব্যবস্থা করে দেয়। তবে মনে রাখবেন এক্ষেত্রে খরচ কমে না বরং বাড়ে।

>> কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে প্রি প্ল্যান করা জরুরি। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে সেই জায়গা সম্পর্কে কিছুটা তথ্য জানা উচিত। এতে খরচ সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা থাকবে।

>> বর্তমানে ট্রিপএডভাইসর, ট্রিভাগোডটকম, মাইট্রিপ, ইস্ক্যানারসহ অসংখ্য ওয়েবসাইট এখন হোটেল এবং যানবাহন কোম্পানিগুলোর নানা রকম ছাড় বছর জুড়ে দিয়ে থাকে প্রি বুকিং এর ক্ষেত্রে। আগে আগে এসব যায়গা থেকে বুকিং করে রাখলে টাকা কম খরচ হবে ও বাড়তি সুবিধাও পাবেন।

>> দেশে বা বিদেশে প্লেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে আপনি যত আগে প্লেনের টিকেট বুক করবেন তত কম দামে পাবেন। যাত্রার নির্ধারিত সময়ের একদম কাছাকাছি সময় টিকেট বুক করলে দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি পড়বে।

>> যেকোনো দুর্গম স্থানে বেড়াতে গেলে সঙ্গে শুকনো খাবার যেমন- মুড়ি, চিপস, পানীয় যেমন পানি, কোল্ড ড্রিংক, ফলের রস আগে থেকে কিনে নিজের সঙ্গে নিয়ে যাবেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে অনেক সময় এগুলো দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়।

>> ভ্রমণে গিয়ে স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলো ঘুরে ঘুরে খাবারের দাম জানুন। অনেক খাবারের দোকানগুলো পর্যটকদের দেখলে দ্বিগুন দাম নিয়ে থাকে।

>> স্থানীয় লোকজন যে সেবা দিয়ে থাকে তাকে কমিউনিটি ট্যুরিজম বলে। বিদেশসহ এবং দেশের কিছু জায়গাতেও মানুষজন টুরিস্টদেরকে নিজেদের বাড়িতে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় অল্প খরচে। এমন হলে টাটকা খাবারও পাবেন আবার খরচও কমে যাবে।

>> দেশের প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই সরকারি গেস্টহাউস বা বাংলো আছে। সময় বিশেষে এসবের ভাড়া পাওয়া যায়; সেক্ষেত্রে আগে থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিয়ে রাখতে হবে।

>> অনেকেই আছেন যারা বেড়াতে গিয়ে দরদাম করতে চান না। এক্ষত্রে খাবার, হোটেল, যাতায়াত থেকে শুরু করে পর্যটনের জায়গাগুলোতে দরদাম করলে অন্যদের তুলনায় আপনি সবকিছুতেই অল্প অল্প করে তুলনামূলক কম খরচে সেবা পাবেন।

>> কোথাও যদি ৭-১০ ঘণ্টার ভ্রমণের প্রয়োজন হয়; সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন রাতে ভ্রমণ করতে। এক্ষেত্রে পরবর্তী ভ্রমণের জন্য একটা দিন বেশি পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে এক রাতের হোটেল ভাড়া বেঁচে যায়।

>> হোটেলে থাকার সময় যতটা সম্ভব রুম সার্ভিসকে না বলুন। রুম সার্ভিস এ যেকোনো কিছু অর্ডার করলে বিল এবং বকশিশ মিলিয়ে সাধারণ দামের থেকে বেশি খরচ পরে।

এ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে ভ্রমণে খরচ অনেকটাই কমাতে পারবেন। এ ছাড়াও বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভ্রমণ বিষয়ক অনেক গ্রুপ আছে। সেখানকার সদস্যদের কাছ থেকে জানতে পারবেন ভ্রমণ সংক্রান্ত বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়